জ্বালানি তেলের দাম কমেছে

আপডেট: May 23, 2024 |
inbound5419284904177367
print news

বিশ্ববাজারে বৃদ্ধির পর আবার কমেছে জ্বালানি তেলের দাম। যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির হার ও নীতি সুদহার দীর্ঘদিন ঊর্ধ্বমুখী থাকার প্রভাবে চাহিদা কমবে, এমন শঙ্কা থেকেই কমেছে জ্বালানি তেলের দাম।

বাজারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকোনমিকসের তথ্যানুযায়ী, বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ডাব্লিউটিআই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ০.৫০ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল হয় ৭৮.২৯ ডলার।

গত এক মাসে এই তেলের দাম কমেছে প্রায় ৬ শতাংশ। পাশাপাশি লন্ডনের ব্রেন্ট অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ০.৩৩ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল হয় ৮২.৫৭ ডলার। এক মাসের ব্যবধানে দাম কমেছে ৬.৫০ শতাংশ।

এর আগে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা বাড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডের কর্মকর্তারা গত সোমবারই জানান, মূল্যস্ফীতির সূচক নিম্নমুখী হচ্ছে।

পরিষ্কারভাবে এমন ইঙ্গিত পাওয়ার পরই তারা নীতি সুদহার কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

ফেডারেল রিজার্ভের ভাইস চেয়ারম্যান ফিলিপ জেফারসন বলেছেন, এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতির হার সামান্য কমেছে, কিন্তু সেই ধারা যে দীর্ঘমেয়াদি হবে, তা এখনই বলার সময় হয়নি।

ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল বার বলেছেন, নিয়ন্ত্রণমুখী নীতি কার্যকর হতে আরো সময় লাগবে।

ফেডারেল রিজার্ভ আটলান্টার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাফায়েল বোস্টিক বলেছেন, মূল্যস্ফীতির ধারা দীর্ঘ মেয়াদে কমতে শুরু করেছে, এ বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী হতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরো কিছুটা সময় লাগবে।

নীতি সুদহার বাড়ানোর অর্থ হলো ঋণ নিতে নিরুৎসাহ করা; অর্থাৎ সমাজে অর্থের সঞ্চালন হ্রাস করা। এরপর সমাজে বা অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করতে হলে নীতি সুদহার হ্রাস করা হয়; এতে সমাজে অর্থের সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।

এমতাবস্থায় বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ববাজারে একদিকে চাহিদা কম, আরেক দিকে সরবরাহ বেশি, সে কারণে বাজার দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।

এতে তেলের দাম আরও পড়ে যেতে পারে। সুখবর হলো তেল উৎপাদনকারী অঞ্চলে বড় ধরনের ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা থাকলেও বাজারে এখনো বিশেষ প্রভাব পড়েনি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর