ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

আপডেট: August 16, 2024 |
inbound8562606646542202247
print news

লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব ও অশ্লীল ভাষায় যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে কলেজ অধ্যক্ষ প্রিয় ব্রত চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কলেজ অধ্যক্ষ প্রিয় ব্রত চৌধুরী বলেন, শিক্ষক মুজাহিদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগ রয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এতে অধ্যক্ষ তার প্রতিনিধিকেও দায়িত্ব দিতে পারেন। অন্যদের মধ্যে জেলা প্রশাসক বা তার প্রতিনিধিকেও রাখা হয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মুজাহিদ কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি কলেজের ছাত্রীদের অশ্লীল ভাষায় যৌন হয়রানি ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছেন।

শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীদের দিকে স্পর্শকাতরভাবে তাকানো ও শরীর স্পর্শ করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের অশ্লীলতার দিকে অনুপ্রাণিত করেন।

এতে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মনোযোগ নষ্ট হয়৷ ভর্তি বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মে জড়িত তিনি। বিভিন্নভাবে তিনি কলেজে আধিপত্য বিস্তার করেছেন। কলেজের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।

এতে অশ্লীল আচরণের পরও বাধ্য হয়ে তার শরণাপন্ন হতে হয়। এসব অভিযোগে শিক্ষক মুজাহিদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে কলেজে।

তিনজন এইচএসসি পরিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, কারণে-অকারণে শিক্ষক মুজাহিদ ইসলাম তাদের যৌন হয়রানি করেন। তারা সরাসরি ভিকটিম।

কয়েক বছর ধরে তার এ অসভ্যতা চলছে। নারী শিক্ষকরাও হয়রানি শিকার। মান সম্মান হারানোর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না। গোপনে তদন্ত করলে অন্তত ২০টি ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলামের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করে বন্ধ পাওয়া যায়।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর