মান্দায় অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক রহিদুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু


আকতারুজ্জামান নাইম, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ ও কর্মচারি নিয়োগে অর্থ লেনদেনের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে পাওয়া এ অভিযোগের বিষয়ে তদন্তকাজ শুরু করেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম সেখ।
মঙ্গলবার উপজেলার চকচম্পক ছোট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তিনি তদন্ত শুরু করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলাম ২০০৫ সনে নিজের ক্ষমতার বলে প্রাক্তন সভাপতি ও দাতা সদস্য তোফাজ্জল হোসেনকে না জানিয়ে আইসিটি শিক্ষক পদে তারিনী কান্ত সরকারকে নিয়োগ প্রদান করেন।
একইভাবে ২০২০ সনে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামসুদ্দিনকে না জানিয়ে, আশরাফুল ইসলামকে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানের শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রদান করেন।
ধারাবাহিক অনিয়মের অংশ হিসাবে গত ১২ জুন ২০২৪ সনে ঈদুল আযহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময় কৌশলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
যা ছুটির তিনদিন পূর্বে আবেদনের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এছাড়াও অফিস সহায়ক (করণিক) আকবর হোসেনকে তার কাজ না বুঝিয়ে দিয়ে পছন্দের লোক (শিক্ষক) আমিনুল ইসলামকে দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করিয়ে নিচ্ছেন।
এখানেই তার অনিয়মের শেষ নয়, প্রধান শিক্ষকের আপন ভগ্নিপতিকে সভাপতি করে ৩ সদস্যের দায়সারা কমিটি বানিয়ে ৬ বছর ধরে সকল কর্মযজ্ঞ বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালীন প্রধান শিক্ষক সাবেক মন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামানিকের ছত্রছায়ায় কোন নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে সকল অনিয়ম করেছেন।
স্কুলে লেখাপড়ার কোন পরিবেশ নেই। ক্লাসে শিক্ষার্থী থাকেনা। ভাড়া করা শিক্ষার্থী দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন তিনি।
এর আগে গত ২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ভূয়া পরীক্ষার্থী সহ আটক হন প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলাম ও সহকারি শিক্ষক আমিনুল ইসলাম।
প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এখানে এসেছিলেন।
আমি কোন অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত নেই। বাস্তবে গুটিকয়েক শিক্ষার্থী দিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার কথা স্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম সেখ জানান, উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে তাদের বক্তব্য জেনেছি।
তারা যে অভিযোগগুলো করেছে তার মিল রয়েছে । তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিদর্শন কালে ক্লাসে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখতে পাননি এই কর্মকর্তা।