এখনো পানিবন্দি ১২ লাখ পরিবার, মৃত্যু ২৭

আপডেট: August 28, 2024 |
inbound5138487280051651947
print news

উন্নতি হয়েছে দেশের বন্যা পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘণ্টায় পানিবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি মিলেছে ৩৩ হাজার ৬১৯টি পরিবারের। সোমবার পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮। মঙ্গলবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৭ হাজার ৪২৯টি পরিবারে। বন্যায় এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে ২৭ জনের, আর ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন।

গতকাল মঙ্গলবার বন্যার সর্বশেষ পরিস্থিতি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাংলাদেশে চলমান ভয়াবহ বন্যার মধ্যেই ফারাক্কা ব্যারাজের ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত।

তবে এর ফলে এখন পর্যন্ত নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি। অধিকাংশ এলাকায় পানি নেমে যাচ্ছে। যেসব এলাকায় নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে সেগুলো রানিং পানি, দ্রুত নেমে যাবে বলে আশা করছি। এটা রাজনৈতিক বন্যা পরিস্থিতি কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে।

ত্রাণ বিতরণের বিষয়ে তিনি বলেন, দুর্গম এলাকায় সেনাবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনী হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে। এখন পর্যন্ত দূরবর্তী সব উপজেলায় ত্রাণ পৌঁছানো গেছে। এখন পর্যন্ত বন্যা আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ১১টিই আছে। বন্যায় কুমিল্লায় ১০ জন, ফেনীতে এক জন, চট্টগ্রামে পাঁচ জন, খাগড়াছড়িতে এক জন, নোয়াখালীতে পাঁচ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক জন, লক্ষ্মীপুরে এক জন এবং কক্সবাজারে তিন জন মারা গেছেন। এছাড়া মৌলভীবাজারে দুই জন নিখোঁজ আছেন।

উপদেষ্টা জানান, পানিবন্দি বা ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয়ের জন্য মোট ৩ হাজার ৮৮৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ৫ লাখ ৯ হাজার ৭২৮ জন লোক এবং ৩৪ হাজার ৪২১টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে মোট ৬২০টি মেডিক্যাল টিম চালু রয়েছে।

ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, বন্যার্তদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছয় দিনে নগদ কালেকশন হয়েছে ৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার বেশি। এর মধ্যে ৬০ লাখ টাকার বেশি এসেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর