‘ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার মোটেও কাম্য নয়’

আপডেট: November 21, 2024 |
inbound4340831629186286458
print news

ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে চলা অপপ্রচার দুই দেশের সম্পর্কের জন্য মোটেও কাম্য নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তৌফিক হাসান। এ বিষয়ে ভারতের হাইকমিশনারকে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল চালুর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সম্প্রতি আমরা একটি অনুরোধ পেয়েছি।

এটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা সিভিল অ্যাভিয়েশন মিনিস্ট্রিকে পাঠিয়েছি। পরবর্তীতে এটার আপডেট জানা যাবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র মিশনে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় সরকার প্রাথমিক তদন্ত করেছে জানিয়ে তৌফিক হাসান বলেন, এ ব্যাপারে এরই মধ্যে একটি প্রাথমিক তদন্ত হয়েছে।

সেটার পরিপ্রেক্ষিতে আরও অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ তদন্ত দ্রুত সম্পাদিত হবে। দ্বিতীয় দফা তদন্ত হওয়ার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।

ডিসেম্বরের বৈঠকে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানো নিয়ে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আগামী মাসে ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে।

ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে ওই বৈঠকে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। সামনে এফওসি যেটা, সেখানে এটা আলোচনা করার অবকাশ থাকবে। তখন হয়তো পরিষ্কার হবে, আমরা আসলে কী চাই।

শেখ হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে প্রত্যর্পণ চুক্তির বিষয়ে তৌফিক হাসান বলেন, সেটা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। মাত্র একটা আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে। এখনো অনেক সময় রয়েছে।

শেখ হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো অনুরোধ প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, এটা একটা রাজনৈতিক বিষয়। কাজেই সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যখন আমাদের নির্দেশনা দেয়া হবে, আমরা তখনই কাজ করব।

আমরা আসলে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনো অনুরোধ পাইনি। পত্রিকার মাধ্যমে দেখেছি, ইন্টারপোলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

যেহেতু এটা পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়, সেহেতু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যাওয়া ভালো। তবে আমরা কিন্তু এখনও কোনো নির্দেশনা পাইনি।

তৌফিক হাসান জানান, এবারের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মোট ২৫টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন যেখানে প্রায় সবক্ষেত্রেই রোহিঙ্গা সমস্যার কথা পর্যালোচনা করা হয়।

এ ছাড়া বাংলাদেশ এ বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের সাইড ইভেন্ট আয়োজন করে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা তিনটি প্রস্তাব দেন যার অন্যতম ছিল অল স্টেকহোল্ডারস কনফারেন্স আয়োজনের আহ্বান।

অতি সম্প্রতি জাতিসংঘের মহাসচিবকে প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য একটি চিঠি পাঠিয়ে বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।

এরই ফলে বুধবার (২০ নভেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে ওআইসি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে উপস্থাপিত ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক একটি রেজ্যুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

জাতিসংঘের ১০৬টি সদস্যরাষ্ট্র এটি কো-স্পনসর করে, যা এ রেজ্যুলেশনের প্রতি ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থনের প্রতিফলন।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর