সাহিত্যপত্র প্রগতি নিয়ে দু’ছত্র

আপডেট: March 16, 2025 |
inbound3553778806268001174
print news

আধুনিক প্রযুক্তির এ সময়ে এসে সাহিত্যচর্চার নামে অসংখ্য গ্রুপের দৌরাত্ম্য, অনলাইন ওয়েবম্যাগের আধিপত্যতা রয়েছে। অনলাইন সাহিত্যচর্চার অবাধ সুযোগের সময়ে লিটলম্যাগ চর্চা এক ধরনের দুঃসাহসিক কাজ।

যাদের মন-মানসিকতা সাহিত্য সেবায় জেঁকে বসেছে তারা ঝুঁকি নিয়েই কাজ করেন। ফারক হোসেন শিহাব সেই দুঃসাহসিক সাহিত্য যোদ্ধাদের একজন।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি জাতীয় পত্রিকার বিভাগীয় পাতা থেকে শুরু করে শিল্পকলাএকাডেমীর ‘মাসিক শিল্পকলা’ সম্পাদনা করে যাচ্ছেন।

তার সম্পাদিত নোঙর পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ, লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার মুখপত্র ‘প্রগতি’ সম্পাদনা করে তার সুশীল ও সৃজনশীলতার বহুমাত্রিক পরিচয় দিয়েছেন।

সময় আর অর্থদৌড়ে প্রগতি’র বিরতি ঘটলেও চলতি সংখ্যাটা অত্যান্তযোগ্যতা সম্পন্ন কাজ হয়েছে বলে পাঠকেরা মনে করেন।

তাই এ সংখ্যাটিকে সাজিয়েছেন মোটাতাজা কলেবরে। কবিতা মূলত শিল্প সাহিত্যে মাতৃস্থান দখল করে আছে যুগ যুগ ধরে।

প্রগতি’র এসংখ্যা সূচনা করেছেন জেলা বিশিষ্ট ব্যক্তি রামেন্দু মজুমদারের স্মৃতিময় লক্ষ্মীপুর প্রবন্ধ দিয়ে। গোলাম কিবরিয়া পিনু লিখেছেন প্রগতি লেখক সংঘের ঐতিহ্য ও শিল্পীদের ভূমিকা।

সম্পাদক তার যাত্রা শুরুর গান গেয়েছেন চার বিশিষ্টজনের গদ্য দিয়ে। তারপর চার কবি’র কবিতা দিয়ে।এটিই সম্পাদকীয়। আবার গদ্য আবার কবিদের কবিতা।

চমৎকার এ গ্রন্থে সমসাময়িক লেখক ও কবিদের কবিতা ছড়ার পাশাপাশি জেলার লোকসাহিত্য, আঞ্চলিক ভাষার সাহিত্য ও বিশ্ব সাহিত্যের আলোচিতদের লেখা থাকলে আরও সমৃদ্ধ হতো।

স্থানীয় লেখক বা কবি’র সৃষ্টিশীলতা নিয়ে আলোচনা করা যেতো। এতে করে কবি ও কবিতার নানা অনুষঙ্গ উঠে আসতো।

মেধাবী গল্পকারদের গল্পও আছে প্রগতিতে।গল্পকারদের নাম নাই বলি তবে তাদের লেখার সাথে জীবনের অনেক অজানা কথা জানা যায়।

সাহিত্য সংশ্লিষ্ট সকলের সংগ্রহে রাখার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর