দেওয়ান সমিরকে চেনেন না বলে আদালতে মডেল মেঘনার দাবী

আপডেট: April 17, 2025 |
boishakhinews 34
print news

শুধু সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলানের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল বলে আদালতের কাছে দাবি করেছেন মডেল মেঘনা আলম। তিনি বলেন, ব্যবসায়ী দেওয়ান সমিরকে তাঁর বন্ধু বলা হচ্ছে, যা সঠিক নয়। তিনি দেওয়ান সমিরকে চেনেন না।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) আজ বৃহস্পতিবার এমন দাবি করেন মডেল মেঘনা আলম।

চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে ১৫ এপ্রিল মেঘনা, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল আলীম।

 

সেই মামলায় বলা হয়েছে, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা জনৈক কূটনীতিকের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৬০ কোটি টাকা) অর্থ দাবি করেছেন। তবে মামলার এজাহারে ওই কূটনীতিকের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় একটি গোপন বৈঠক হয়। বৈঠকে মেঘনা, সমিরসহ কয়েক ব্যক্তি অংশ নেন। এতে কূটনীতিকের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি ও আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়। এই গোপন বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল প্রতারণা করে অর্থ আদায় করা। আসামিদের এই কার্যক্রমের কারণে আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আজ মেঘনাকে আদালতে হাজির করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী প্রথম আলোকে বলেন, বিচারকের অনুমতি নিয়ে মডেল মেঘনা আলম আদালতে কথা বলেন। তিনি আদালতের কাছে দাবি করেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলানের সঙ্গেই তাঁর পরিচয় ছিল। সৌদি রাষ্ট্রদূত তাঁকে ফোনও করেছিলেন বলে আদালতে দাবি করেন মেঘনা আলম।

ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, মেঘনা আলম আদালতে দাবি করেছেন, তিনি দেওয়ান সমিরকে চেনেন না।

এদিকে আদালতে উপস্থিত থাকা ব্যক্তিরা জানান, মডেল মেঘনা আলম দাবি করেন, সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। অন্যদিকে দেওয়ান সমিরও দাবি করেন, তাঁকে মেঘনা আলমের ‘বয়ফ্রেন্ড’ বলা হচ্ছে। বাস্তবে মেঘনা আলমের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। মামলার ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি।

মামলায় মডেল মেঘনাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। অন্যদিকে দেওয়ান সমিরকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়। ঢাকার সিএমএম আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে ভাটারা থানায় করা আরেকটি চাঁদাবাজির মামলায় ১১ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন ব্যবসায়ী সমির। এই মামলায় তাঁকে ১২ এপ্রিল পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী, পরদিন বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) আদালত মেঘনাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন।

মেঘনাকে আটকের প্রক্রিয়া ও আটকাদেশের বৈধতা নিয়ে তাঁর বাবা বদরুল আলম গত রোববার রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর