টেষ্ট ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে বাংলাদেশের পরাজয়


জিম্বাবুয়ে: ১৭৪/৭ (৫০.১ ওভার)
দ্বিতীয় ইনিংস: বাংলাদেশ: ২৫৯/১০ লিড: ১৭৩
প্রথম ইনিংস: বাংলাদেশ ১৯১ ও জিম্বাবুয়ে ২৭৩
জয় থেকে জিম্বাবুয়ে যখন ১৫ রান দূরে তখন জিম্বাবুয়ের সপ্তম উইকেট নেন মিরাজ। কিন্তু না, এরপর মাধেভেরে-এনগারাভা তিন চারে ম্যাচ জিতিয়ে দেন। মাধেভেরে ১৯ ও এনাগারাভা ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের দেওয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্য জিম্বাবুয়ে টপকে যায় তিন উইকেট হাতে রেখে। জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটি ম্যাচের ভিত গড়ে দেয়। বেনেট-কারানের জুটি থেকে আসে ৯৫ রান। বেনেট সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন। ৪৪ আসে কারানের ব্যাট থেকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও রান কম থাকায় টপকে যায় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন মিরাজ। তিনি সাকিব-তাইজুলের পর ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
মিরাজের উইকেট
আরভিনের ব্যাট হয়ে উইকেটের পেছনে গেলেও জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিলে দেখা যায় পরিষ্কার আউট। ১৪৫ রানে পঞ্চম উইকেট হারালো জিম্বাবুয়ে। নতুন ব্যাটার মায়াভো এসেই ক্যাচ দিয়েছিলেন। কিন্তু নিতে পারেননি জাকির হাসান। পরের ওভারে মায়াবোকে বোল্ড করেন মিরাজ। ১ রান করেন মায়াভো। এটি মিরাজের চতুর্থ উইকেট। জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ২৯ রান, বাংলাদেশের ৪ উইকেট।
বৃষ্টির লুকোচুরি
বৃষ্টির কারণে ১.১৫ ঘণ্টা পরে খেলা শুরু হয়। তৃতীয় সেশনে এসে আবার বৃষ্টি আসে। জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন মাত্র ৪১। হাতে আছে ৬ উইকেট।
মিরাজের ঘূর্ণিতে পরাস্ত উইলিয়ামস-বেনেট
হালকা লাফিয়ে ওঠে মিরাজের বল। বুঝতেই পারেননি উইলিয়ামস। শর্ট কাভারে বল চলে যায় শান্তর হাতে। ১৩ বলে ৯ রান করেন তিনি। এরপরেই মিরাজের শিকার বেনেট। ফিফটি করে ছড়ি ঘোরাচ্ছিলেন এই ব্যাটার। উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিকের হাতে। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৫৩ রান।
তাইজুলে কাটা পড়লেন ওয়েলচ
জোরালো এলবিডব্লিউর আবেদন। আম্পায়ারের আঙুল তুলতে দেরি করেননি। তাইজুল পেলেন তার প্রথম উইকেট, আর বাংলাদেশ পেল আরেকটি ব্রেকথ্রু, ঠিক চা বিরতির আগে! ফেরার আগে নিক ওয়েলচ করেছিলেন ১০ রান।
মেহেদি ফেরালেন কারেনকে
কারেন ভুলভাবে খেলেছেন এবং ধরা পড়েছেন! বাংলাদেশ কি এখান থেকে সুযোগ তৈরি করতে পারবে? প্রশ্নটা সময়ের হাতে তোলা থাক। অফ স্টাম্প লাইনে ফুল লেংথে একটি লোভনীয় বল ছিল। কারেন চেয়েছিলেন বলটা বোলারের মাথার উপর দিয়ে বা লং অনের দিকে মারতে। কিন্তু ঠিকমতো টাইম করতে পারেননি। খালেদ আহমেদ ক্যাচে পরিণত হয়ে ৭৫ বলে ৪৪ করে ফেরেন কারেন।
ওপেনিং জুটিতে বেনেট-কারান হাফসেঞ্চুরি করেন। তাও মাত্র ১২.৫ ওভারে। দুজনেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করছেন। বেনেট ১৭ ও কারান ২৮ রানে ব্যাট করছেন। রানা-হাসান কেউই পাত্তা পাচ্ছেন না দুই ব্যাটারের সামনে।
জাকেরে ভর করে ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ
চতুর্থ দিনের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দিনের দ্বিতীয় বলেই ফেরেন শান্ত (৬০)। মিরাজ এসেও কিছু করতে পারেননি (১১)। হাসানকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরেন জাকের। দুজনের ৩৫ রানের জুটিই বাংলাদেশের লিড দেড়শ পার করে। জাকেরের ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান। মুমিনুল করেছেন ৪৭ রান। বাংলাদেশ থামে ২৫৯ রানে। লিড ১৭৩। মুজারাবানি একাই ৬ উইকেট নেন। এরপর জিম্বাবুয়ে ব্যাটিংয়ে নামে। ১ ওভার খেলা হতেই বিরতিতে যায় দুই দল।
স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে জাকের আলীর ফিফটি
নাইউচিকে চার মেরে ১০৬ বলে ফিফটির দেখা পান জাকের আলী। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের লিড দেড়শ পার করেছেন। মিরাজরা তাকে সঙ্গ দিতে না পারলেও হাসান মাহমুদ দারুন সঙ্গ দিয়েছেন। দুজনের জুটিতে আসে ৯১ বলে ৩৫ রান। পরের ওভারেই মাসাকদজার শিকার হয়ে ফেরেন হাসান-খালেদ। হাসানের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। বল খেলেন ৫৮টি।
মুজারাবানি-এনগারাবার গতিতে কাঁপছে বাংলাদেশ
এবার সাজঘরে তাইজুল। বাংলাদেশের আরও একটি উইকেটের পতন। মিরাজের আউটের পর ক্রিজে আসেন তাইজুল। এনগারাবার বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। শুরুতে জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরবর্তীতে রিভিউ নিলে দেখা যায় ব্যাটে লেগেই বল যায় উইকেটের পেছনে। ক্রিজে জাকেরের সঙ্গী হাসান।
মিরাজের বিদায়, মুজারাবানির ফাইফার
মুজারাবানির অফ সাইডের বল। গতির সঙ্গে হালকা বাউন্স ছিল। তাতে পরাস্ত মিরাজ। ডিফেন্ড করতে গয়ে কিছুটা দেরি করে ফেলেন। তারই মাশুল দিতে হলো উইকেট বিলিয়ে। বল ব্যাটের কানায় লেগে যায় গালিতে দাঁড়ানো বেনেটের হাতে। একটি করে ছয়-চারে ১৫ বলে ১১ রান করেন মিরাজ। তার আউটে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। ১৩০ রানের লিড না হতেই হারালো ষষ্ঠ উইকেট। ৬ উইকেটের মধ্যে ৫টিই নেন মুজারাবানি। এটি তার তৃতীয় ফাইফার। জাকের ছাড়া আর কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যাটার নেই। ক্রিজে এলেন তাইজুল।
দিনের দ্বিতীয় বলেই শান্তর বিদায়
দিনের দ্বিতীয় বলেই ফিরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। মুজারাবানিকে অহেতুক পুল করতে গিয়ে বিদায় নেন এই সেট ব্যাটার। সহজ ক্যাচ ধরেন নাইউচি। শান্তর ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৬০ রান। শান্তর আউটে দ্বিতীয় দিন কোনো রান হওয়ার আগেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তার আউটে ভাঙে ৩৯ রানের জুটি। ক্রিজে জাকের আলীর সঙ্গী মিরাজ।
খেলা শুরু হবে ১১টায়
মাঠকর্মীরা ব্যস্ত মাঠ প্রস্তুতের কাজে। অন্যদিকে ওয়ার্ম আপ করছেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। প্রায় সোয়া ঘন্টা পিছিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হচ্ছে বেলা ১১টায় শুরু হবে। তৃতীয় দিনের অর্ধেক সময় বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতার কারণে বল মাঠে না গড়ানোয় আজ খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল পৌনে ১০টায়। তবে বৃষ্টিতে সম্ভব হয়নি।
মধ্যাহ্নবিরতি দুপুর ১টা। আর চা বিরতি নেওয়া হবে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে। শেষ সেশনের খেলা চলবে ৪টা থেকে বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত।
মাঠ পরিদর্শন ১০টায়
তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হয়ে গিয়েছিল আগেভাগেই। কারণ ছিল আলোকস্বল্পতা, আর চতুর্থ দিনের সকালে হানা দিল বৃষ্টি। সকালে ঝোড়ো বৃষ্টি হইয়েছে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে যা এখন আর নেই। তবে ৯টা ৪৫ মিনিটে খেলা শুরু করেয়া সম্ভব নয়। দশটায় মাঠ পর্যবেক্ষণ করবেন দুই আম্পায়ার।
স্বস্তি ও শঙ্কায় শেষ হয়েছে তৃতীয় দিন
সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ৪৪ ওভার। দিন শেষে বাংলাদেশ দল এগিয়ে আছে ১১২ রানে, হাতে আছে ৬ উইকেট। মাঠ ভেজা থাকায় প্রথম সেশনে খেলা হয়নি। নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা পর শুরু হয় খেলা। ১ উইকেটে ৫৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশ গত ৩ উইকেট হারিয়ে যোগ করেছে ১৩৭ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৫৭ ওভারে ১৯৪/৪ (জয় ৩৩, মুমিনুল ৪৭, শান্ত ৬০*, মুমিনুল ৪৭, মুশফিক ৪, জাকের ২১*; জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি ৩ উইকেট নিয়েছেন, অন্য উইকেটটি ভিক্টর নিয়াউচির।
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৭৩
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৯১েটেষ্ট ম্যাচে
জিম্বাবুয়ে: ১৭৪/৭ (৫০.১ ওভার)
দ্বিতীয় ইনিংস: বাংলাদেশ: ২৫৯/১০ লিড: ১৭৩
প্রথম ইনিংস: বাংলাদেশ ১৯১ ও জিম্বাবুয়ে ২৭৩
জয় থেকে জিম্বাবুয়ে যখন ১৫ রান দূরে তখন জিম্বাবুয়ের সপ্তম উইকেট নেন মিরাজ। কিন্তু না, এরপর মাধেভেরে-এনগারাভা তিন চারে ম্যাচ জিতিয়ে দেন। মাধেভেরে ১৯ ও এনাগারাভা ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের দেওয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্য জিম্বাবুয়ে টপকে যায় তিন উইকেট হাতে রেখে। জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটি ম্যাচের ভিত গড়ে দেয়। বেনেট-কারানের জুটি থেকে আসে ৯৫ রান। বেনেট সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন। ৪৪ আসে কারানের ব্যাট থেকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও রান কম থাকায় টপকে যায় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন মিরাজ। তিনি সাকিব-তাইজুলের পর ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
মিরাজের উইকেট
আরভিনের ব্যাট হয়ে উইকেটের পেছনে গেলেও জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিলে দেখা যায় পরিষ্কার আউট। ১৪৫ রানে পঞ্চম উইকেট হারালো জিম্বাবুয়ে। নতুন ব্যাটার মায়াভো এসেই ক্যাচ দিয়েছিলেন। কিন্তু নিতে পারেননি জাকির হাসান। পরের ওভারে মায়াবোকে বোল্ড করেন মিরাজ। ১ রান করেন মায়াভো। এটি মিরাজের চতুর্থ উইকেট। জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ২৯ রান, বাংলাদেশের ৪ উইকেট।
বৃষ্টির লুকোচুরি
বৃষ্টির কারণে ১.১৫ ঘণ্টা পরে খেলা শুরু হয়। তৃতীয় সেশনে এসে আবার বৃষ্টি আসে। জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন মাত্র ৪১। হাতে আছে ৬ উইকেট।
মিরাজের ঘূর্ণিতে পরাস্ত উইলিয়ামস-বেনেট
হালকা লাফিয়ে ওঠে মিরাজের বল। বুঝতেই পারেননি উইলিয়ামস। শর্ট কাভারে বল চলে যায় শান্তর হাতে। ১৩ বলে ৯ রান করেন তিনি। এরপরেই মিরাজের শিকার বেনেট। ফিফটি করে ছড়ি ঘোরাচ্ছিলেন এই ব্যাটার। উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিকের হাতে। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৫৩ রান।
তাইজুলে কাটা পড়লেন ওয়েলচ
জোরালো এলবিডব্লিউর আবেদন। আম্পায়ারের আঙুল তুলতে দেরি করেননি। তাইজুল পেলেন তার প্রথম উইকেট, আর বাংলাদেশ পেল আরেকটি ব্রেকথ্রু, ঠিক চা বিরতির আগে! ফেরার আগে নিক ওয়েলচ করেছিলেন ১০ রান।
মেহেদি ফেরালেন কারেনকে
কারেন ভুলভাবে খেলেছেন এবং ধরা পড়েছেন! বাংলাদেশ কি এখান থেকে সুযোগ তৈরি করতে পারবে? প্রশ্নটা সময়ের হাতে তোলা থাক। অফ স্টাম্প লাইনে ফুল লেংথে একটি লোভনীয় বল ছিল। কারেন চেয়েছিলেন বলটা বোলারের মাথার উপর দিয়ে বা লং অনের দিকে মারতে। কিন্তু ঠিকমতো টাইম করতে পারেননি। খালেদ আহমেদ ক্যাচে পরিণত হয়ে ৭৫ বলে ৪৪ করে ফেরেন কারেন।
ওপেনিং জুটিতে বেনেট-কারান হাফসেঞ্চুরি করেন। তাও মাত্র ১২.৫ ওভারে। দুজনেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করছেন। বেনেট ১৭ ও কারান ২৮ রানে ব্যাট করছেন। রানা-হাসান কেউই পাত্তা পাচ্ছেন না দুই ব্যাটারের সামনে।
জাকেরে ভর করে ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ
চতুর্থ দিনের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দিনের দ্বিতীয় বলেই ফেরেন শান্ত (৬০)। মিরাজ এসেও কিছু করতে পারেননি (১১)। হাসানকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরেন জাকের। দুজনের ৩৫ রানের জুটিই বাংলাদেশের লিড দেড়শ পার করে। জাকেরের ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান। মুমিনুল করেছেন ৪৭ রান। বাংলাদেশ থামে ২৫৯ রানে। লিড ১৭৩। মুজারাবানি একাই ৬ উইকেট নেন। এরপর জিম্বাবুয়ে ব্যাটিংয়ে নামে। ১ ওভার খেলা হতেই বিরতিতে যায় দুই দল।
স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে জাকের আলীর ফিফটি
নাইউচিকে চার মেরে ১০৬ বলে ফিফটির দেখা পান জাকের আলী। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের লিড দেড়শ পার করেছেন। মিরাজরা তাকে সঙ্গ দিতে না পারলেও হাসান মাহমুদ দারুন সঙ্গ দিয়েছেন। দুজনের জুটিতে আসে ৯১ বলে ৩৫ রান। পরের ওভারেই মাসাকদজার শিকার হয়ে ফেরেন হাসান-খালেদ। হাসানের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। বল খেলেন ৫৮টি।
মুজারাবানি-এনগারাবার গতিতে কাঁপছে বাংলাদেশ
এবার সাজঘরে তাইজুল। বাংলাদেশের আরও একটি উইকেটের পতন। মিরাজের আউটের পর ক্রিজে আসেন তাইজুল। এনগারাবার বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। শুরুতে জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরবর্তীতে রিভিউ নিলে দেখা যায় ব্যাটে লেগেই বল যায় উইকেটের পেছনে। ক্রিজে জাকেরের সঙ্গী হাসান।
মিরাজের বিদায়, মুজারাবানির ফাইফার
মুজারাবানির অফ সাইডের বল। গতির সঙ্গে হালকা বাউন্স ছিল। তাতে পরাস্ত মিরাজ। ডিফেন্ড করতে গয়ে কিছুটা দেরি করে ফেলেন। তারই মাশুল দিতে হলো উইকেট বিলিয়ে। বল ব্যাটের কানায় লেগে যায় গালিতে দাঁড়ানো বেনেটের হাতে। একটি করে ছয়-চারে ১৫ বলে ১১ রান করেন মিরাজ। তার আউটে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। ১৩০ রানের লিড না হতেই হারালো ষষ্ঠ উইকেট। ৬ উইকেটের মধ্যে ৫টিই নেন মুজারাবানি। এটি তার তৃতীয় ফাইফার। জাকের ছাড়া আর কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যাটার নেই। ক্রিজে এলেন তাইজুল।
দিনের দ্বিতীয় বলেই শান্তর বিদায়
দিনের দ্বিতীয় বলেই ফিরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। মুজারাবানিকে অহেতুক পুল করতে গিয়ে বিদায় নেন এই সেট ব্যাটার। সহজ ক্যাচ ধরেন নাইউচি। শান্তর ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৬০ রান। শান্তর আউটে দ্বিতীয় দিন কোনো রান হওয়ার আগেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তার আউটে ভাঙে ৩৯ রানের জুটি। ক্রিজে জাকের আলীর সঙ্গী মিরাজ।
খেলা শুরু হবে ১১টায়
মাঠকর্মীরা ব্যস্ত মাঠ প্রস্তুতের কাজে। অন্যদিকে ওয়ার্ম আপ করছেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। প্রায় সোয়া ঘন্টা পিছিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হচ্ছে বেলা ১১টায় শুরু হবে। তৃতীয় দিনের অর্ধেক সময় বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতার কারণে বল মাঠে না গড়ানোয় আজ খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল পৌনে ১০টায়। তবে বৃষ্টিতে সম্ভব হয়নি।
মধ্যাহ্নবিরতি দুপুর ১টা। আর চা বিরতি নেওয়া হবে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে। শেষ সেশনের খেলা চলবে ৪টা থেকে বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত।
মাঠ পরিদর্শন ১০টায়
তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হয়ে গিয়েছিল আগেভাগেই। কারণ ছিল আলোকস্বল্পতা, আর চতুর্থ দিনের সকালে হানা দিল বৃষ্টি। সকালে ঝোড়ো বৃষ্টি হইয়েছে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে যা এখন আর নেই। তবে ৯টা ৪৫ মিনিটে খেলা শুরু করেয়া সম্ভব নয়। দশটায় মাঠ পর্যবেক্ষণ করবেন দুই আম্পায়ার।
স্বস্তি ও শঙ্কায় শেষ হয়েছে তৃতীয় দিন
সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ৪৪ ওভার। দিন শেষে বাংলাদেশ দল এগিয়ে আছে ১১২ রানে, হাতে আছে ৬ উইকেট। মাঠ ভেজা থাকায় প্রথম সেশনে খেলা হয়নি। নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা পর শুরু হয় খেলা। ১ উইকেটে ৫৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশ গত ৩ উইকেট হারিয়ে যোগ করেছে ১৩৭ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৫৭ ওভারে ১৯৪/৪ (জয় ৩৩, মুমিনুল ৪৭, শান্ত ৬০*, মুমিনুল ৪৭, মুশফিক ৪, জাকের ২১*; জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি ৩ উইকেট নিয়েছেন, অন্য উইকেটটি ভিক্টর নিয়াউচির।
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৭৩
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৯১