“সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদের তথ্যে গ্রেফতার হয় আরো দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী”

আপডেট: May 28, 2025 |
inbound3795121798688111727
print news

আসাদুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া থেকে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্যমতে ঢাকার হাতিরঝিল থেকে সুব্রত বাইনের সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।

অভিযানের সময় গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করতের বলে জানিয়েছে অভিযানসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।

মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে তিন ঘণ্টাব্যাপী এক গোপন অভিযান শেষে গ্রেফতার করা হয় সুব্রত বাইন ও তার এক সহযোগীকে।

ঘটনাটি ঘটে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে, সোনার বাংলা মসজিদ সড়কের মীর মহিউদ্দিনের তিনতলা বাড়িতে।

সেনাসদস্যরা ভোরে চারটি গাড়ি নিয়ে অভিযান চালিয়ে ভবন ঘিরে ফেলেন এবং নিচতলা থেকে দুজনকে আটক করেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে মুখ না খুললেও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় উঠে আসে আতঙ্ক ও চমকে ওঠার চিত্র।

বাড়ির নিচতলায় প্রায় দেড় মাস ধরে ভাড়া থাকা দুজনের পরিচয় জানার পর এলাকায় ভয় ও উৎকণ্ঠার আবহ ছড়িয়ে পড়ে।

সুব্রত বাইনের সঙ্গে আলোচনায় আসা আরেক নাম মোল্লা মাসুদ। মতিঝিল-গোপীবাগের ত্রাস হিসেবে একসময় পরিচিত এই সন্ত্রাসী বহু বছর ধরে ভারতের মাটিতে আত্মগোপনে ছিলেন।

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং বাংলাদেশের র‌্যাব ও ডিবির বরাত অনুযায়ী, মাসুদ কলকাতায় বসবাস করতেন ‘আবু রাসেল মো. মাসুদ’ নামে এবং এক ভারতীয় নাগরিক রিজিয়া সুলতানাকে বিয়ে করে দীর্ঘদিন সেখানে অবস্থান করছিলেন।

আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা সংবাদ সম্মেলনে জানান, সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৫টার পর কুষ্টিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে।

পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে সুব্রত বাইনের অপর দুই সহযোগী শুটার আরাফাত এবং শরীফকে গ্রেফতার করা হয়।

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ভারতের মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস) তাকে গ্রেফতার করে।

ব্যারাকপুর থানা-পুলিশ ও কলকাতার সিআইডি যৌথভাবে তাকে দুই দফায় ১৮ দিনের রিমান্ডে নেয়।

তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ভাগ করে নেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর