কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, চলছে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

আপডেট: July 19, 2025 |
inbound8613800814481117592
print news

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ‘জাতীয় সমাবেশ’ ঘিরে ইতোমধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে। সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা।

স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করছে জামায়াতে ইসলাম। সাত দফা দাবিতে এই সমাবেশে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। সমাবেশ শুরুর ৬ ঘণ্টা আগেই দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে প্রায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে হামদ ও নাত পরিবেশন হচ্ছে। বেলা দুইটা থেকে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা। দলের আমির শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেবেন।

এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, ব্যানার-ফেস্টুন হাতে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলের দিকে যাচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে করে আসা নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করছেন। নেতাকর্মীদের অনেকের হাতে তাদের দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা শোভা পাচ্ছে। দাঁড়িপাল্লা ও দলীয় মনোগ্রাম সম্বলিত টি-শার্ট, পাঞ্জাবি পরে এসেছেন বহু নেতাকর্মী।

দলটির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, স্বাধীনতা-উত্তর এই প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করছে জামায়াত। আগামী জাতীয় নির্বাচন ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্যের পাশাপাশি গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হঠাৎ তৈরি হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এই সমাবেশ হতে যাচ্ছে।

সমাবেশে বড় ধরনের জমায়েত নিশ্চিত করতে রেলপথ, নৌপথ ও সড়কপথে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে দলটি।

এদিকে জাতীয় সমাবেশ সফল করতে দায়িত্ব পালন করছেন ২০ হাজারের মতো স্বেচ্ছাসেবক। ভোর থেকে সমাবেশের আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিভিন্ন স্পটে স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন।

শনিবার ভোর থেকে হাইকোর্ট এলাকা, মৎস্য ভবন, শাহবাগ এলাকার বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখা গেছে, স্বেচ্ছাসেবকরা সবাই একই ধরনের ড্রেস পরে বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়েছেন। তারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করছেন। কোন অঞ্চলের মানুষ কোন গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন।

সাত দফা দাবিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জামায়াতের এই জাতীয় সমাবেশ।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন ও এক কোটিরও বেশি প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর