হোয়াইট ওয়াশ করতে না পারলেও পাকিস্তনেকে হারিয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়


সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ১৭৮/৭ (২০ ওভারে)
বাংলাদেশ: ১০৪/১০ (১৬.৪ ওভার)
ফলাফল: পাকিস্তান ৭৪ রানে জয়
সিরিজ: বাংলাদেশ ২: ১ পাকিস্তান
প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ জাকের
সিরিজ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন জাকের আলী। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। শেষ ম্যাচে মাত্র ১ রানে আউট হন জাকের। এর আগে প্রথম টি-টোয়েন্টি অপরাজিত ১৫ ও দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫৫ রান করেন তিনি। ৩ ম্যাচে ৭১ রান করে সর্বোচ্চ রান তুলেছেন এই ব্যাটসম্যান।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ শাহিবজাদা
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শুরুতেই বাংলাদেশের বোলারদের এলোমেলো করে দেওয়া শাহিবজাদা ফারহান হয়েছেন প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ। ফখর জামানের পরিবর্তে সুযোগ পেয়ে ৪১ বলে ৬৩ রান করেন শাহিবজাদা। ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ডানহাতি ব্যাটসম্যান ইনিংসটি সাজিয়েছেন। ১৫৩.৬৫ স্ট্রাইক রেটে দ্রুত রান তোলেন তিনি।
অসহায় আত্মসমর্পণে শেষটা রাঙাতে পারল না বাংলাদেশ
এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয়ের পর আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাসে পানি ঢেলে দিল পাকিস্তান। বিশাল এক জয়ে সিরিজের শেষটায় হাসল তারা।
৭৪ রানের জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল পাকিস্তান। বাংলাদেশের আমন্ত্রণে আগে ব্যাটিং করে পাকিস্তান ৭ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাবে বাংলাদেশ ১০৪ রানে গুটিয়ে যায়।
বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়ে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিল বাংলাদেশ। আজকের পুরো দিনটিই বাংলাদেশের বিপক্ষে গেছে। দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং, বোলিং করতে পারেননি কেউই।
প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশের হাতছানি ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু পাকিস্তানকে বাগে পেয়েও সুযোগটি নিতে পারেনি। আপাতত সিরিজ জয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।
হাসানের দুর্দান্ত ক্যাচে তাসকিন আউট:
ভালো ব্যাটিংয়ের পর বোলিংটাও যুৎসই করেছে পাকিস্তান। এবার তাদের ফিল্ডিংটাও দেখা গেল জমজমাট। হাসান নওয়াজ যেই ক্যাচটি নিলেন তা মুগ্ধ করেছে সবাইকে।
স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজের বল তুলে মারতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দেন তাসকিন। ফাইন লেগে ফিল্ডিংয়ে থাকা হাসান দৌড়ে বিশাল গ্যাপ পূরণ করেন। এরপর ডাইভ দিয়ে বল তালুবন্দি করেন। ৬ বলে ৭ রান করে আউট হন তাসকিন। বাংলাদেশ হারাল নবম উইকেট।
নাসুমও ফিরলেন সাজঘরে:
শুরুর ব্যাটসম্যানরা যেখানে আসা-যাওয়ার মিছিলে লেগেছিলেন সেখানে নাসুম আহমেদের ওপর খুব বেশি ভরসা থাকার কথা না। তবুও নাসুম অবদান রাখলেন। ৯ রান যোগ করলেন স্কোরবোর্ডে। এরপর হুসেন তালাতের বলে লং অনে দানিয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে।
বাংলাদেশ হারাল অষ্টম। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান তাসকিন আহমেদ।
পরাজয় দিচ্ছে উঁকি:
পাওয়ার প্লে’তে ৫ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। পরের দুই ওভারে আরো ২ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। স্কোরবোর্ডে ৪১ রান তুলতেই ৭ ব্যাটসম্যান সাজঘরে। ১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চরম বাজে ব্যাটিংয়ে পরাজয় উঁকি দিচ্ছে বাংলাদেশকে।
ইনিংসের ১০ ওভার শেষে রান কেবল ৫৬। শেষ ১০ ওভারে ১২৩ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।
সপ্তম ওভারে সালমান আগার বলে ৫ রানে আউট হন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। পরের ওভারে নাঈম শেখ হাওয়ায় ক্যাচ তোলেন। ১৭ বলে ১০ রান করেন তিনি। ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেবল নাঈমই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেন। বাকিরা সবাই সিঙ্গেল ডিজিটে আউট হয়েছেন।
পাওয়ার প্লে’তে নড়বড়ে বাংলাদেশ:
প্রথম ওভার থেকে উইকেট হারানো শুরু। পাওয়ার প্লে শেষের আগেই নেই ৫ উইকেট। সালমান মির্জা একাই নেন ৩ উইকেট, ২ উইকেট নেন ফাহিম। এ সময়ে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে জমা করতে পারে মাত্র ২৯ রান।
২৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ:
লিটনের আউটের পর ক্রিজে এসে দুই চারে ভালো কিছুর আভাস দেন মিরাজ। কিন্রু বেশিদূর যেতে পারেননি। ফাহিমের বলে মিড অনে ক্যাচ তুলে দেন। ৮ বলে ৯ রান করেন তিনি। সালমান মির্জার পরের ওভারেই সাজঘরে ফেরেন জাকের-মেহেদী। ২ বলে ১ রান করে বোল্ড হন তিনি। এক বল পরে শুন্য রানে বোল্ড হন মেহেদী। ২৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ। ক্রিজে লড়ছেন নাঈম-শামীম।
প্রথম দুই ওভারে তানজীদ-লিটনের উইকেট হারালো বাংলাদেশ:
সালমান মির্জার প্রথম ওভারেই আউট তানজীদ তামিম। শর্ট বলে কাট করতে গিয়ে খোচা দেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। উইকেটের পেছনে ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি হারিস। শুন্য রানেফেরেন তানজীদ। ক্রিজে আসা লিটন দাসও সুবিধা করতে পারেননি।যদিও এসেই চার মেরে রানের খাতা খোলেন। ফাহিম আশরাফের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে পরাস্ত হন তিনি। ফ্লিক করতে গিয়ে বোল্ড! ১০ রানে নেই ২ উইকেট। ক্রিজে নাইমের সঙ্গী মিরাজ।
বাংলাদেশের টার্গেট ১৭৯ রান
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে পাকিস্তান ৭ উইকেটে ১৭৮ রান তুলেছে। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে বাংলাদেশের করতে হবে ১৭৯ রান।
পাকিস্তানের শুরুটা ছিল উড়ন্ত। ওপেনিংয়ে শাহিবজাদা ও সাইমের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৮ ওভারেই ৮২ রান তুলে নেয় তারা। এরপর খানিকটা ছন্দ হারালেও শেষ দিকে হাসান নওয়াজ ও মোহাম্মদ নওয়াজের ব্যাটে বড় সংগ্রহ পেয়েছে অতিথিরা।
প্রথম দুই ম্যাচে তেমন রান হয়নি। পাকিস্তান প্রথম ম্যাচে করেছিল ১১০ রান। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে করে ১৩৩ রান। আজ বড় রান হওয়াতে সমর্থকরাও খুশি।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন শাহিবজাদা। ৪১ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। এছাড়া হাসান নওয়াজ ৩৩ ও মোহাম্মদ নওয়াজ ২৭ রান করেন।
বাংলাদেশের বোলারদের হয়ে তাসকিন আহমেদ ৩৮ রানে নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট পেয়েছেন নাসুম আহমেদ।
তাসকিনের আরেকটি উইকেট:
নওয়াজের পর ফাহিম আশরাফকেও ফেরালেন তাসকিন। ২ বলে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি ফাহিম। ডানহাতি পেসারের বল উড়াতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে তানজিদের হাতে ক্যাচ দেন ফাহিম।
১৭৭ রানে সপ্তম উইকেট হারাল পাকিস্তান। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান আব্বাস আফ্রিদি।
তাসকিন ফেরালেন নওয়াজকে:
শেষ ওভারের প্রথম বলে তাসকিন আহমেদ তুলে নেন মোহাম্মদ নওয়াজের উইকেট। ২টি করে চার ও ছক্কায় নওয়াজ শেষ দিকে ঝড় তুলেছিলেন। সাজঘরে ফেরার আগে ১৬ বলে ২৭ রান করেন তিনি।
১৭৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় পাকিস্তান। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান ফাহিম আশরাফ।
সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না তালাত:
একাদশে সুযোগ পাওয়া হুসেন তালাত বড় কিছু করতে পারলেন না। অবদান রাখার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ৪ বলে ১ রানে থেমে যায় তার ইনিংস।
পেসার সাইফ উদ্দিনের বল উইকেট থেকে সরে কাট করতে গিয়ে লিটনের হাতে ক্যাচ দেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। পাকিস্তান ৫ বলের ব্যবধানে হারাল দ্বিতীয় উইকেট।
১৩২ রানে নেই তাদের ৫ উইকেট। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নওয়াজ।
ঝড় তুলে আউট হাসান:
ক্রিজে নেমে বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে দ্রুত রান তুলছিলেন হাসান নওয়াজ। পাকিস্তান বড় রানের জন্য তার দিকে তাকিয়ে ছিল। বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল তাকে ফেরানোর। সেই পরিকল্পনায় সফল বাংলাদেশ। তবে হাসান ঝড় তুলেছেন ঠিকই।
পেসার শরীফুলের বলে আউট হওয়ার আগে ১৭ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ রান করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৪ উইকেটে পাকিস্তানের রান ১৩১।
উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান হুসেন তালাত।
এলোমেলো ব্যাটিংয়ে হারিস আউট:
প্রথম ম্যাচে ৪। পরের ম্যাচে শূন্য। শেষ টি-টোয়েন্টিতে মোহাম্মদ হারিস রান পাবেন এমনাটই প্রত্যাশা ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু শেষটাতেও নিষ্প্রভ থাকলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
তাসকিনের বল উড়াতে দিয়ে থার্ড ম্যান অঞ্চলে ক্যাচ দেন হারিস। ১৪ বলে ৫ রান করে আউট হন এই ব্যাটসম্যান। পাকিস্তান তৃতীয় উইকেট হারাল ১১৫ রানে। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান সালমান মির্জা।
পাকিস্তানের একশ:
ইনিংসের ১২তম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় শতরান পেল পাকিস্তান। স্পিনার মাহেদীর বলে ২ রান নিয়ে দলের রান তিন অঙ্কে নিয়ে যান হাসান নওয়াজ।
নাসুমের দ্বিতীয় শিকার শাহিবজাদা:
শুরুর দিকে নিয়ন্ত্রিত শটে শাহিবজাদা রান তুললেও ফিফটির পর তেমন গতি ছিল না। বড় রানের খোঁজে এলোমেলো ব্যাট চালাচ্ছিলেন। তেমনই এক শট খেলতে গিয়ে এবার উইকেট হারালেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
স্পিনার নাসুমের লেন্থ বল স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন শাহিবজাদা। দৌড়ে সামনে এসে বল তালুবন্দি করেন মাহেদী। ৪১ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৩ রান করেন তিনি। ফখরের পরিবর্তে সুযোগ পেয়ে বেশ ভালো ব্যাটিং করেছেন।
৯৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল পাকিস্তান। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান হাসান নওয়াজ।
ব্রেক থ্রু এনে দিলেন নাসুম:
পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটির জবাব দিতে পারছিলেন না বাংলাদেশের বোলারদের কেউ। দুই ওপেনার শাহিবজাদা ও সাইম বাংলাদেশের বোলারদের শাসন করছিলেন কড়া হাতে। বাউন্ডারির ফোয়ারা ছুটিয়ে দ্রুত রান তুলছিলেন তারা।
রানের সেই চাকায় লাগাম টানলেন স্পিনার নাসুম। এনে দিলেন ব্রেক থ্রু। নাসুমের বল সুইপ করে ছক্কা উড়াতে চেয়েছিলেন সাইম। কিন্তু টাইমিং মেলাতে পারেননি। বল চলে যায় ডিপ মিড উইকেটে। সেখানে শামীম সহজ ক্যাচ নিয়ে দলকে এনে দেন প্রথম সাফল্য। ১৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২১ রান করেন সাইম।
পাকিস্তান প্রথম উইকেট হারাল ৮২ রানে।
পাওয়ার প্লে’তে দারুণ পাকিস্তান:
পাওয়ার প্লে’তে পাকিস্তান ৫৭ রান তুলে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে। এ সময়ে ৬ চার ও ৩ ছক্কা পেয়েছে অতিথিরা। শাহিবজাদা একাই ৪ চার ও ৩ ছক্কা মেরেছেন। তাকে সঙ্গ দেওয়া সাইম মেরেছেন ২ চার। নতুন বলে বাংলাদেশের কেউই তেমন ভালো করতে পারছেন না। লাইন ও লেন্থ পেতে ধুকছেন।
পাকিস্তানের ঝড়ো শুরু:
উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধুনো করে অনায়েসে রান তুলছে তারা। ৫ ওভারে তাদের রান ৪২। দলে ফেরা শাহিবজাদা ফারহান আগ্রাসী মনোভাবে রান তুলছে। তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন সাইব আইয়ুব। উইকেটের খোঁজে বাংলাদেশ। কে এনে দেন ব্রেক থ্রু?
টস:
পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশের একাদশে পাঁচ পরিবর্তন:
শেষ টি-টোয়েন্টিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে বাংলাদেশ। পাঁচটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। তানজিদ হাসান তামিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাইফ উদ্দিন, তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদ একাদশে ফিরেছেন।
বাংলাদেশ একাদশ:
লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাঈম শেখ, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী অনিক, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, সাইফ উদ্দিন, শেখ মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
পাকিস্তানের দুটি পরিবর্তন:
পাকিস্তানের একাদশে দুটি পরিবর্তন হয়েছে। শাহিবজাদা ফারহান ও হোসেন তালাত দলে ফিরেছেন।
পাকিস্তান একাদশ:
শাহিবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ হারিস, সালমান আগা, হাসান নওয়াজ, হোসেন তালাত, মোহাম্মদ নেওয়াজ, ফাহিদ আশরাফ, আব্বাস আফ্রিদি, আহমেদ দানিয়াল ও সালমান মির্জা।
বাংলাদেশের হোয়াইটওয়াশের হাতছানি:
সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। আজ জিততে পারলে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারবে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার সূবর্ণ সুযোগ পেল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। গত মে-জুনে পাকিস্তান সফরে লাহোরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। হতশ্রী পারফরম্যান্সে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল। লাহোরে নিজেদের সেই ভরাডুবি পেরিয়ে মাথা উচুঁ করে ঘরের মাঠে পারফর্ম করছে বাংলাদেশ। লাহোরের বদলা ঢাকাতে নিতে মুখিয়ে বাংলাদেশ।
এবারের সিরিজসহ বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জিতেছে ১৭টি। যার ৯টিতে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করতে পেরেছে। যেখানে ১ ম্যাচের সিরিজও আছে। পাকিস্তানে আজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে হারাতে পারলে সংখ্যাটা দুই অঙ্কে নিয়ে যেতে পারবে বাংলাদেশ।