বিশ্বমঞ্চে ভবিষ্যত নেতাদের পরিচিতি করতেই জাতিসংঘে যাচ্ছেন ৪ রাজনীতিক


যাদের হাত ধরে আগামী বছর গণতন্ত্রের নতুন যাত্রা শুরু হবে বাংলাদেশে, তাদেরকে বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থান করতেই সফর সঙ্গী করা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের বহরে।
গণমাধ্যমকে এমনটা জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বিষয়টিকে দেখছে ইতিবাচক হিসেবে। এমন ঐক্যবদ্ধ সফর বার্তা দেয় দেশের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দল এক আছে।
অন্তবর্তী সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নেয়ার পর ২য় বারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগ দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈশ্বিক নেতাদের এ সম্মেলনে এ বছর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে থাকছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তারেক রহমানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতের নায়বে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও এনসিপির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন।
সরকার ঘোষিত নির্বাচনের সময়ক্ষণ যখন ঘনিয়ে আসছে, জুলাই সনদ আর পিআর নিয়ে রাজপথে কয়েকটি রাজনৈতিক দল, এমন বাস্তবতায় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের একসঙ্গে নিয়ে নিউ ইয়র্কে নেয়ার উদ্দেশ্য কি? প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব বললেন, বিশ্ববাসীর সামনে আগামীর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের উপস্থাপন করতেই সফর সঙ্গী করা হয়েছে তাদের।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, তারা আমাদের পার্টনার। আমরা একটি গণতান্ত্রিক উত্তরণের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে, এরপরই আমাদের দায়িত্ব শেষ। নির্বাচনে যারা মুখ্য রাজনৈতিক শক্তি, যারা আন্দোলনে ছিল এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রেখেছেন, তাদেরকেই বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই অধ্যাপক বিষয়টিকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন। এটি ড. ইউনূসের প্রতি রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সমর্থন আছে সেই বার্তা দেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে বিভেদ লক্ষ্য করা গেছে, সে বিভেদটা যাদের কেন্দ্র করে তাদের প্রত্যেকের কিন্তু প্রতিনিধি এখানে রয়েছে। অধ্যাপক ড. ইউনূসের ডাকে ওনারা কিন্তু কেউই আলাদা না, বা কেউ না বলতে পারছেন না। এরকমভাবে যাওয়াটা তাই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ফলে আন্তর্জাতিকভাবে বার্তা যাবে যে, বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক শক্তি প্রধান উপদেষ্টার পাশে আছে।
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এবার ৮০ বছর পূর্ণ করছে জাতিসংঘ। সাধারণ অধিবেশনের এবারের প্রতিপাদ্য-বেটার টুগেদার: এইট্টি ইয়ারস এন্ড মোর, ফর পিস; ডেভলাপমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস।
সূত্র : চ্যানেল 24