ইরিত্রিয়ার রাজধানীতে রকেট হামলা

আপডেট: November 15, 2020 |

ইথিওপিয়ার টিগরে অঞ্চলের চলমান সংঘাতে আশপাশের দেশগুলোও আক্রান্ত হতে শুরু করেছে। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী দেশ ইরিত্রিয়ার রাজধানী আসমারায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। এ ছাড়া বহু মানুষ প্রাণভয়ে এলাকা ছেড়ে টিগরে এলাকাঘেঁষা সীমান্ত পেরিয়ে সুদানে চলে গেছেন। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

এর আগে ইথিওপিয়া সরকার জানায়, সে দেশের আমহারা রাজ্যের দুটি শহরে গত শুক্রবার রকেট হামলা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, বাহির দার ও গোন্দার শহর দুটিতে রকেট হামলা হলে সেখানকার বিমানবন্দর এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনী এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় টিগরে এলাকায় স্থানীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। স্থানীয় বাহিনীগুলো যে অভিযোগ এনে সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালাচ্ছে তা হলো— দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ গত ৪ নভেম্বর টিগরেতে জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর পর সেখানে শত শত লোক নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ সুদানে পালিয়ে গেছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলছে, আরো অনেকেই সুদানের পথে রয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট টিগরেতে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটায় গতকাল শনিবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মুখপাত্র রুপার্ট কলভিল বলেছেন, ‘দক্ষিণ-পশ্চিম টিগরের মায় কাদরা অঞ্চলে কথিত গণহত্যার বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন সম্পর্কে ব্যাচেলেট বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন।’

অ্যামনেস্টি বলছে, স্থির চিত্র ও ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে শত শত লোককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, মনে হচ্ছে এ ঘটনার শিকার লোকজন পেশায় দিনমজুর এবং তাঁরা সামরিক তৎপরতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

কলভিল বলেন, ব্যাচেলেট আশঙ্কা করছেন যে এই সংঘাত অব্যাহত থাকলে তা সীমান্ত পেরিয়ে অন্যত্র ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং হয়তো পূর্ব আফ্রিকাকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। ইরিত্রিয়া ও ইথিওপিয়া দুই দশকের লড়াই শেষে ২০১৮ সালে শান্তিচুক্তিতে আবদ্ধ হয়। নতুন সংঘাতের ফলে তাদের মধ্যেও নতুন করে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর