দড়ি লাফে জোড়া বিশ্বরেকর্ড করলেন বাংলাদেশের রাসেল ইসলাম

আপডেট: July 31, 2021 |
print news

দড়ি লাফে জোড়া বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশের রাসেল ইসলাম। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তার নাম উঠেছে।

বৃহস্পতিবার গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সনদপত্র পৌঁছেছে  ঠাকুরগাঁওয়ের কৃতী সন্তান রাসেলের হাতে।

জানা গেছে, দড়ি লাফের ওপর দুটি বিষয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে ২০১৯ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদন করেন রাসেল।  একটি ৩০ সেকেন্ডে এক পায়ে কতবার লাফাতে পারেন তিনি। অন্যটি ১ মিনিটে এক পায়ের।

দুটিতেই নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন রাসেল। এর আগে এক পায়ে ৩০ সেকেন্ডে ১৪৪ বার লাফানোর রেকর্ড ভেঙে রাসেল করেন ১৪৫বার। আর ১ মিনিটে এক পায়ে ২৫৮ বার লাফিয়ে এর আগে ২৫৬ বার লাফানোর বিশ্বরেকর্ডটিও ভেঙে দেন রাসেল।

১৮ বছর বয়সি রাসেল ইসলামকে ঠাকুরগাঁওয়ের গর্ব বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। তার নাম গিনেস বুকে উঠেছে শুনে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই তাকে দেখতে ছুটে আসছেন।

রাসেলের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের সিরজাপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম বজলুর রহমান। শিবগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে পড়াশোনা করছেন রাসেল।

রাসেলের এই কীর্তির বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, তার  কারণে দেশ-বিদেশে আমাদের গ্রামের নাম প্রচারিত হচ্ছে। অন্যান্য জেলা থেকেও লোকজন আমাদের গ্রামে আসছে।  এটা আমাদের গ্রামের জন্য খুবই আনন্দের। রাসেল আমাদের গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করেছে বিশ্বদরবারে।

জোড়া বিশ্বরেকর্ড ভাঙাসহ গিনেস বুকে ঠাঁই পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় রাসেল ইসলাম বলেন,  ‘ইন্টারনেটে দড়ি লাফের ওপর ভিডিও দেখতাম, বিশ্ব রেকর্ডে নজরে রাখতাম। সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়ার স্বপ্ন দেখতাম। স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি প্রতিনিয়ত চর্চা করে যাই। নিজেকে প্রস্তুত করে এক সময় গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে চ্যালেঞ্জিং আবেদন করি। এরপর সেখান থেকে আমাকে তিন মাস পরে কিছু গাইডলাইনসহ একটি রিপ্লাই দেওয়া হয়। সেখানে তারা তাদের নিয়ম মতো কিছু ভিডিও চায় আমার কাছে। সেই সঙ্গে কীভাবে সেগুলো করতে হবে তারও বিস্তারিত দেওয়া হয়। আমি কিছুদিন আরও মনোযোগ দিয়ে সেই কাজগুলো করে তাদের পঠিয়ে দেই। অবশেষে আমি বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড করি। আমাকে দুটি সনদপত্র দিয়েছে তারা। আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। ’

বৈশাখীনিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর