দেড় দিন পর ফের বন্ধ নৌযান

আপডেট: August 2, 2021 |
print news

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করে সরকার। তবে রবিবার (১ আগস্ট) রফতানিমুখী সব পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ায় কাজে যোগ দিতে শুক্রবার রাত থেকেই হাজার হাজার শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টরা ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় যাত্রা শুরু করেন।

তাদের নিরাপদে কর্মস্থলে ফেরার সুযোগ দিতে সরকার শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়। ভিড় থাকায় পরে রবিবার ১২টায় লঞ্চ বন্ধ না করে চালু রাখার ঘোষণা দেয় সরকার।

৩৮ ঘণ্টা চালু থাকার পর সোমবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এখনো পর্যন্ত সরকারি যে ঘোষণা রয়েছে, তাতে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।

সোমবার রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দেখা যায়, ভোর ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে চাপ কমতে থাকে।

ভোরে যাত্রীদের ভিড়ে পন্টুনে মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি। সেখানে মাস্ক ছাড়াই যাত্রীদের যাতায়াত করতে দেখা গেছে। লঞ্চ টার্মিনালে হকাররা ঝালমুড়ি, আম, আপেল, খেজুরসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে একজনের কাছ থেকে আরেকজনের কাছে গিয়ে বিক্রি করছেন। তাদের কারও মুখে নেই মাস্ক।

তবে সব যাত্রী নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যাওয়ায় সকাল ৭টার পরে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল একে বারে জনশূন্য হয়ে পড়ে। টার্মিনালে সারি সারি লঞ্চ, কিন্তু কোনো যাত্রী নেই। নেই কোনো হাঁকডাক। এর পর সকাল ১০টায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, দেড় দিন লঞ্চ চলার পর সোমবার সকাল ১০টা থেকে ফের বন্ধ হয়ে গেছে নৌযান। গত দেড় দিনে আমরা আশানুরূপ যাত্রী পাইনি।

সরকার ধাপে ধাপে অনুমিত দেওয়ায় এ সুবিধা কেউ নিতে পারেনি। আমাদের যদি শুক্রবার দিন একবারে বলে দিতো যে রবিবার সকাল পর্যন্ত লঞ্চ চলবে, তা হলে আমরা প্রচার করে দিতে পারতাম। কিন্তু সেটি না হওয়ায় পাটুরিয়া-শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। আমরা আজ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সরকারের নির্দেশ মতো লঞ্চ বন্ধ রাখব।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর