পিনাক-৬ লঞ্চ ডুবির ৭ বছর: আজও সন্ধান মেলেনি লঞ্চটির

আপডেট: August 4, 2021 |
print news

পিনাক-৬ দুর্ঘটনার ৭ বছর আজ (৪ আগস্ট)। ২০১৪ সালের আজকের এইদিনে পদ্মায় স্মরণকালের ভয়াবহ নৌ দুর্ঘটনায় আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় পিনাক-৬ নামের একটি লঞ্চ। আজও সন্ধান মেলেনি তলিয়ে যাওয়া লঞ্চটির।

সরকারি হিসেবে, এতে ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ থাকে ৬৪ জন। উদ্ধার হওয়া লাশের মধ্যে ২১ জনকে মাদারীপুরের শিবচর পৌর কবরস্থানে অজ্ঞাতনামা হিসেবে দাফন করা হয়। সাত বছরেও অজ্ঞাতনামা ২১ জনের পরিচয় চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। আজও পিনাক-৬ ট্র্যাজেডির কথা মনে পড়লে আৎকে উঠেন যাত্রীরা।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে পদ্মায় ডুবে যায় পিনাক-৬ নামের লঞ্চটি।

৪৯ জনের লাশ বিভিন্ন জেলা থেকে উদ্ধার করে শিবচরের পাঁচ্চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে আসা হয়। নিখোঁজ হন ৬৪ জন। উদ্ধার হওয়া লাশের মধ্যে ২১ জনকে শিবচরের পৌর কবরস্থানে অজ্ঞাতনামা হিসেবে দাফন করা হয়। রেখে দেওয়া হয় ২১ জনের ডিএনএ টেস্টের নমুনা। তবে এই সাত বছরেও কেউ শনাক্ত করতে আসেনি লাশগুলোর। পিনাক ট্র্যাজেডির কথা মনে পড়লে আজও ভয়ে গা শিউরে উঠে দুর্ঘটনায় কবলিত ও সাধারণ যাত্রীদের। আর যেন পিনাক-৬ এর মতো দুর্ঘটনা না ঘটে এমনটাই কাম্য সাধারণ যাত্রীদের।

শিবচর পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন খান বরেণ, পিনাক-৬ ডুবিতে উদ্ধারকৃত যেসব লাশ সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি তা পৌর কবরস্থানে পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে দাফন করা হয়। তবে এ পর্যন্ত লাশের খোঁজে কেউ আসেনি।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পিনাক-৬ ডুবিতে অনেকেই মারা গেছেন।

লঞ্চ ডুবিতে নিখোঁজও হয়েছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ। যে লাশগুলো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি তাদের ডিএনএ নমুনা পাঠানো হয়। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচলে কঠোর রয়েছে প্রশাসন। আমরা সব সময়ই লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকদের নির্দেশ দিয়েছি অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে যাত্রী পারাপার না করতে।

নিয়মিত লঞ্চে জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামসহ লাইফ জ্যাকেট বয়া লঞ্চে রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে নিয়মিত মনিটরিং করছি।

ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বোঝাইয়ের কারণে পদ্মার দলিত সমাধি হয়েছিল দুই শতাধিক তরতাজা প্রাণ। যাতে কোনোভাবেই অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে লঞ্চ চলাচল না করে এমনটাই দাবি সাধারণ যাত্রীদের।

বৈশাখী নিউজ/ ফাজা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর