জুমার দিন সুরা কাহাফ পাঠে যে ফজিলত

আপডেট: August 6, 2021 |
print news

পবিত্র কোরআন ও হাদিসে জুমাবারের অনেক আমল বর্ণিত হয়েছে। জুমাবার সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতর দিন। সুরা কাহাফ তেলাওয়াত এই দিনের অন্যতম আমল।

বারা বিন আজেব (রা.) বর্ণনা করেছেন, জনৈক ব্যক্তি (নামাজে) সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করছিল। তখন বাড়ির একটি চতুষ্পদ জন্তু লাফাতে শুরু করে। অতঃপর সে সালাম বলল। তখন কুয়াশা বা একখণ্ড মেঘ তাকে আবৃত রাখে। বারা বিন আজিব (রা.) বর্ণনা করেছেন যে, সে বিষয়টি রাসুল (সা.)-এর কাছে বর্ণনা করেন। তিনি তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘হে অমুক, তুমি সুরাটি তেলাওয়াত করো। কারণ এটি আল্লাহর রহমত বা প্রশান্তি, যা কোরআন তেলাওয়াতের কারণে অবতীর্ণ হয়েছিল। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং : ৩৬১৪; সহিহ মুসলিম : ৭৯৫)।

আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং : ৮০৯)

আরেক বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহফের শেষ ১০ আয়াত পড়বে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে।’ (মুসনাদে আহমদ, ৪৪৬/৬)

আরেক বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহফের ১০ আয়াত পড়বে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে।’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ২৮৮৬)

মুআজ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের শুরু ও শেষ তেলাওয়াত করবে তার পায়ের নিচ থেকে মাথা পর্যন্ত নুর প্রজ্জ্বলিত হবে। আর যে ব্যক্তি পুরো সুরা তেলাওয়াত পড়বে তার জন্য আসমান থেকে জমিন পর্যন্ত নুর প্রজ্জ্বলিত হবে।’ (মুসনাদে আহমদ, ৪৩৯/৩)

ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুরা কাহাফ পাঠ করবে, তার পায়ের নিচ থেকে আসমান পর্যন্ত নূর প্রজ্জ্বলিত হবে এবং কিয়ামতের দিন তার জন্য উজ্জ্বল হবে। আর দুই জুমার মধ্যবর্তী সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে।’ (সূত্র : তাফসিরে ইবনে কাসির, খণ্ড ৬, পৃ. ৩৯৮)

আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার জন্য দুই জুমা পর্যন্ত নুর প্রজ্জ্বলিত হবে। (সুনানে দারিমি, হাদিস নং : ৩৪০৭)

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর