ভালো নেই বালিদ্বীপের চঞ্চল বানরেরা

আপডেট: September 11, 2021 |

স্বাভাবিক সময়ে ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্বে সুরক্ষিত বনাঞ্চলের এলাকাগুলো বিয়ের ছবি তোলার জন্য স্থানীয় বাসিন্দা, এমনকি আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিল। তখন এ এলাকার বানরগুলোকে কয়েকটি চিনাবাদাম খাওয়ানো হলে সহজেই সেগুলো মানুষের কাঁধে বা কোলে এসে বসত।

ইন্দোনেশিয়ার উবুদ অঞ্চলের এই বনটির নাম মানকি ফরেস্ট বা বানর বন। আক্ষরিক অর্থেই এ এক বানর রাজ্য! যেখানে বানরের দল চাইলেই গপ করে এসে আপনার হাতের মোবাইল, চোখের চশমা, মাথার টুপিসহ যেকোনো কিছু ছোঁ মেরে নির্ভয়ে নিয়ে আস্তানায় চলে যাবে।

কিন্তু এখন ভালো নেই চঞ্চল বানরগুলো। কারণ প্রতিবছর নয়নাভিরাম এ দ্বীপে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ বেড়াতে আসতেন। এখন মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে বালিতে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ। লাখ লাখ পর্যটকের দেওয়া বিভিন্ন রকম খাবার খেয়ে তাদের খাদ্যাভাসেও এসেছে পরিবর্তন।

পর্যটকদের কাছ থেকে কলা, চিনাবাদাম কিংবা অন্য কোনো সুস্বাদু খাবার পেয়ে অভ্যস্ত বানরগুলোকে তাই থাকতে হচ্ছে ক্ষুধার্ত।

পছন্দসই খাবারের অভাবে গ্রামবাসীদের বসতবাড়িতে হানা দিতে শুরু করেছে দ্বীপের বানরগুলো।

সাংহে গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ‘প্রায় ৫০০ মিটার দূরের এক অভয়ারণ্য থেকে ধূসর লম্বা-লেজওয়ালা ম্যাকাকরা (বানরবিশেষ) খাবারের উদ্দেশ্যে তাদের বাড়ির ছাদে চলে আসছে। গ্রামে বানরদের এমন বিক্ষিপ্ত ছোটাছুটির ফলে আক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় চিন্তিত সেখানকার বাসিন্দারা।’

এলাকাটির বাসিন্দা সাসকরা গুস্তু আলিত বলেন, ‘ক্ষুধার্ত বানরগুলো হিংস্র ও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠায় ভয় পাচ্ছি আমরা।’

রাজধানী জাকার্তাকে ধারণ করা ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপ জাভার ঠিক দক্ষিণেই বালির অবস্থান। বালি ইন্দোনেশিয়ার ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ক্ষুদ্রতম প্রদেশ, যার আয়তন মাত্র ৫ হাজার ৭৮০ বর্গ কি.মি. এবং জনসংখ্যা ৪২.২ লাখ। বালির রাজধানীর নাম ডেনপাসার ।

মূলত পর্যটনই বালির ৪ মিলিয়ন অধিবাসীদের আয়ের প্রধান উৎস। করোনা মহামারির আগে বছরে ৫ মিলিয়নেরও বেশি পর্যটকের সমাগম ছিল এ দ্বীপে।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর