ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিধ্স, নিহত কমপক্ষে ৩৪

আপডেট: May 13, 2024 |
inbound4768364272096002450
print news

প্রবল বর্ষণে কারণে সৃষ্ট বন্যার ফলে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে ভূমিধস হয়েছে। এতে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এখনো পর্যন্ত বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার প্রাদেশিক উদ্ধারকারী দলের প্রধান আব্দুল মালিক রয়টার্সকে জানান, বন্যা ও ভুমিধসের ঘটনায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আমরা অনুসন্ধানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। চারজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। পরে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪-এ। এখনো পর্যন্ত ১৬ জনের খোঁজ মেলেনি।

পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থার মুখপাত্র ইলহাম ওয়াহাব বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘৩৪ জন প্রাণ হারিয়েছে। কমপক্ষে ১৮ জন আহত হয়েছে। আমরা এখনো ১৬ জনের সন্ধান করছি। ’

দেশের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা সংস্থা বিএনপিবি জানিয়েছে, শনিবার রাত থেকে বন্যার ফলে তানাহ দাতার রিজেন্সির পাঁচটি উপজেলা প্রভাবিত হয়েছে। বন্যার সঙ্গে প্রচুর কাদা এসে ব্যাপক এলাকা ঢাকা পড়েছে।

বিএনপিবি আরও জানিয়েছে, তাদের সর্বশেষ মূল্যায়নে ৮৪টি আবাসন, ১৬টি সেতু এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে ভারী সরঞ্জামের মাধ্যমে দ্রুত রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

শনিবার মাঝ রাতে মাউন্ট মেরাপিরনদীর শাখা ভেঙে প্রবল জলোচ্ছ্বাস দেখা দেয়। টানা বৃষ্টি ও ভূমিধসের ফলে পশ্চিম সুমাত্রার আগাম ও তানাহ দাতার জেলার পাহাড়ি গ্রামে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে।

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা সংস্থার মুখপাত্র আবদুল মুহারি বলেছেন, কমপক্ষে ১০০টি বাড়িঘর ভেসে গেছে।

বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়, প্রবল বর্ষণ, ঠাণ্ডা লাভার প্রবাহ এবং কাদার স্রোত আগ্নেয়গিরির ঢাল বেয়ে নামায় আকস্মিক বন্যার সূত্রপাত ঘটেছে। ঠাণ্ডা লাভার স্রোত লাহার নামেও পরিচিত। এটি আগ্নেয় পদার্থ ও নুড়ির মিশ্রণ, যা বৃষ্টির ফলে মাউন্ট মেরাপি আগ্নেয়গিরির ঢালে প্রবাহিত হয়েছিল।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর