এক নজরে কোন দেশের আছে কয়টি পরমাণু সাবমেরিন

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক এক নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা অকাস (Aukus) চুক্তি নামে পরিচিত। এই চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য অস্ট্রেলিয়াকে পরমাণু চালিত সাবমেরিন নির্মাণের প্রযুক্তি দিয়ে সহযোগিতা করবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অকাস (Aukus) নামের চুক্তিটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিন দেশের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা। এর অর্থ হলো অস্ট্রেলিয়া হবে পরমাণু সাবমেরিন সমৃদ্ধ সপ্তম দেশ।

এর পাশাপাশি দেশটি সাইবার সক্ষমতা এবং সাগরতলে কাজ করার নানা প্রযুক্তিও পাবে।

“এটা আসলেই দেখাচ্ছে যে, এই তিন দেশ (চীনের) আগ্রাসী মনোভাবের প্রতি উত্তর দিতে একটি পরিকল্পনা আঁটছে,” বলেছেন এশিয়া সোসাইটি অস্ট্রেলিয়ার গাই বোয়েকেনস্টেইন।

বরিস জনসন পরে বলেছেন, চুক্তিটি বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ চীন সাগরে বিরোধপূর্ণ জায়গাগুলোতে উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য বেইজিংকে দায়ী করে আসছিল পশ্চিমারা।

চীন ওই অঞ্চলে তার শতবর্ষ পুরাতন অধিকার আছে বলে দাবি করছে এবং এর পক্ষে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রও তার মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের স্বার্থ সুরক্ষায় সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে।

অস্ট্রেলিয়ায় সাবমেরিন স্টেশন থাকা মানে ওই অঞ্চলের যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা, বলছেন বিশ্লেষকরা।

এক নজরে কোন দেশের আছে কয়টি পরমাণু সাবমেরিন

বর্তমানে পরমাণু সাবমেরি রয়েছে ছয়টি দেশের কাছে। সেগুলো হলো:
১. যুক্তরাষ্ট্র, ৭০টি
২. রাশিয়া, ৪০টি
৩. চীন, ১৯টি
৪. যুক্তরাজ্য, ১০টি
৫. ফ্রান্স, ৯টি
৬. ভারত, ৩টি

তথ্যসূত্র: স্ট্রেইট টাইমসফার্স্টপোস্ট

বৈশাখী নিউজ/ এপি