নারী ক্ষমতায়নে নতুন ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে আইসল্যান্ড

আপডেট: September 27, 2021 |
print news

ইউরোপে নারী ক্ষমতায়নে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে আইসল্যান্ডের জনগণ, জাতীয় সংসদে নারীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে দেশটি।

নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলের ভিত্তিতে দেখা গেছে, ৬৩ আসনের মধ্যে ৩৩টি আসনই পেয়েছে নারীরা। অর্থাৎ প্রায় ৫২ শতাংশ আসন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে দেশটির নারী সাংসদ। ২০১৭ সালে হওয়া শেষ নির্বাচনের চেয়ে এবার ৯ টি আসন বেশি পেয়েছে দেশটির নারী রাজনৈতিকেরা।

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের তথ্যানুসারে এর আগে ৪৭ শতাংশ নারী সাংসদ নিয়ে সুইডেন ইউরোপের সর্বোচ্চ নারী সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের তালিকায় নাম লিখালেও কোনো দেশই ৫০ শতাংশ নারী সাংসদের হার অতিক্রম করতে পারেনি।

অথচ, কিছু রাজনৈতিক দলে নারী সদস্য থাকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও অন্যান্য দেশের মতো আইসল্যান্ডে নারী প্রতিনিধিদের জন্য আলাদাভাবে সংরক্ষিত আসন কিংবা কোনো বিশেষ কোটা ব্যবস্থা নেই।

মার্চে প্রকাশিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিবেদনে টানা ১২ বছরের মতো লিঙ্গসমতায় সর্বোচ্চ অবস্থান পায় দেশটি। একই সাথে নেতৃত্বে লিঙ্গসমতায়নের অনন্য নজির রাখার কথাও উঠে এসেছিল ওই প্রতিবেদনে।

দেশটিতে নারী ও পুরুষদের সমান পরিমাণে সন্তান ধারণকালীন ছুটি দেয়া হয়। এছাড়া নারী-পুরুষের সমান পারিশ্রমিক দেওয়ার আইন ১৯৬১ সাল থেকেই চালু আছে দেশটিতে। এমনকি ১৯৮০ সালে বিশ্বের প্রথম নারী রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত হয় আইসল্যান্ডে।

আইসল্যান্ড ছাড়া বিশ্বে আর মাত্র পাঁচটি দেশে বর্তমানে ৫০ শতাংশ নারী প্রতিনিধি রয়েছে। এদের মধ্যে ৬১.৩ শতাংশ নারী সাংসদ নিয়ে রুয়ান্ডা রয়েছে প্রথম অবস্থানে। ৫৩.৪ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে কিউবা, ৫০.৬ শতাংশ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে নিকারাগুয়া এবং ম্যাক্সিকো ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ৫০ শতাংশ নিয়ে যৌথভাবে চতুর্থ অবস্থানে আছে।

অন্যদিকে ক্ষমতাধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ৩৪.২ শতাংশ নারী হাউস অব কমন্স ও ২৭.৬ শতাংশ নারী হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে জায়গা করতে পেরেছে।

বৈশাখী নিউজ/ ফাজা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর