৩০ দেশে অনুমোদনের অপেক্ষায় ভারতের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট

সময়: 11:40 am - October 15, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 2 বার

যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশ ভারতের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটের স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছে। ফলে ভারতীয় ভ্রমণকারীদের জন্য যুক্তরাজ্যে কোয়ারেন্টাইন আর বাধ্যতামূলক নয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের কোভিড ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট স্বীকৃতি দিতে সম্মত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য ছাড়াও রয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, নেপাল, বেলারুশ, লেবানন, আর্মেনিয়া, ইউক্রেন, বেলজিয়াম, হাঙ্গেরি এবং সার্বিয়া।

তবে দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, চীন এবং ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশের ভ্রমণকারীদের ভারতে আসার সময় বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন ছাড়াও অতিরিক্ত বিধিনিষেধ অনুসরণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, এর মধ্যে দেশে আগমন-পরবর্তী কোভিড পরীক্ষা এবং স্ক্রিনিং অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, হাঙ্গেরি এবং সার্বিয়া স্বীকৃতি দিতে সম্মত দেশগুলোর তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে।

বাগচি বলেন, টিকা সার্টিফিকেটের স্বীকৃতি মহামারি-পরবর্তী বিশ্বে শিক্ষা, ব্যবসা, পর্যটন এবং অন্যান্য বিষয়ে মানুষকে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে সহায়তা করবে।

এদিকে, স্বীকৃত দিতে সম্মত হওয়ার পরেই যুক্তরাজ্য সরকার ভ্যাকসিন গ্রহণকারী ভারতীয় যাত্রীদের ওপর থেকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজনীয়তা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ভারতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালেক্স এলিস এক টুইট বার্তায় বলেন, “১১ অক্টোবর থেকে কোভিশিল্ড বা ব্রিটেন-অনুমোদিত অন্য ভ্যাকসিন গ্রহণকারী ভারতীয় ভ্রমণকারীদের জন্য যুক্তরাজ্যে কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক নয়।”

অন্যদিকে, ভারত বৃহস্পতিবার একদিনে ২৭ লাখেরও বেশি ডোজ ভ্যাকসিন দিয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটি ৯৭ কোটি ডোজেরও বেশি ভ্যাকসিন দিয়েছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, দিনভর চূড়ান্ত প্রতিবেদন গভীর রাতে সংগ্রহ করা হয়। তা-না হলে দৈনিক টিকার সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে বুধবার, ভারতে একদিনে প্রায় ২৭ লাখ ৬২ হাজার ৫২৩ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল।

মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, টিকা অভিযান দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। তাই এই প্রচারাভিযানটি নিয়মিত সর্বোচ্চ পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর