সদকা দান-খায়রাতের দ্বারা সম্পদ কমে না বরং বাড়ে

সময়: 11:42 pm - October 29, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 5 বার

সদকা এমন একটি ইবাদত যার ফলাফল ইহজগতেও দৃশ্যমান। সমাজ থেকে দারিদ্র্য বিমোচন হোক কিংবা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সর্বক্ষেত্রে সদকা হলো দারুণ কার্যকরী। পারস্পরিক হৃদ্যতার কথা উঠুক অথবা আত্মিক তৃপ্তি লাভের আলোচনা, কোনো ক্ষেত্রেই সদকার নেই কোনো তুলনা। সদকার দুটি দিক রয়েছে। প্রথমটি ফরজ, যা আমরা জাকাত বলে জানি। দ্বিতীয়টি নফল, আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মানুষের উপকারার্থে যা কিছু ব্যয় করা হয় সবই এর অন্তর্ভুক্ত। রাসূল (সা.) যথার্থ বলেছেন, সদকা খায়রাতের দ্বারা সম্পদ কমে না বরং বাড়ে। তাই যেন আজ বাস্তবায়িত হলো।ইসলামে বেশি বেশি দান সদকা করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। কুরআন হাদিসে অসংখ্যবার দানের ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা.) বলেন নিশ্চয়ই সদকার মাধ্যমে আল্লাহর অসন্তুষ্টি দূরীভূত হয় এবং অপমৃত্য থেকে বাঁচিয়ে রাখে।

বস্তুবাদী ধ্যানধারণায় লালিত সমাজের লোকজন মনে করে দান সদকার মাধ্যমে সম্পদ ফুরিয়ে যাবে। অথচ হাদিসে কুদসিতে রাসূল (সা.) বলেন, আল্লাহতায়ালা বলেছেন, হে বনি আদম তোমরা অন্যের জন্য সম্পদ ব্যয় কর। আমি তোমাদের জন্য সম্পদের ব্যবস্থা করে দেব। তিনি আরও বলেন, সদকা খায়রাত বিপদ আপদ থেকে মুক্তি দেয়। তা ছাড়া পরকালে জাহান্নাম থেকে বেঁচে থাকা বা জান্নাতে উঁচু মর্যাদা লাভ করার জন্যও সদকার হাত প্রসারিত করা অপরিহার্য। রাসূল (সা.) বলেন, তোমরা এক টুকরা খেজুর সদকা করে হলেও জাহান্নাম থেকে বেঁচে থাক। অন্যত্র বলেন, যে ব্যক্তি বেশি বেশি সদকা খায়রাত করবে তাকে কিয়ামতের দিন বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে আহ্বান জানানো হবে।

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর