আজ থেকে শুরু হচ্ছে ২৬তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন

আপডেট: October 31, 2021 |

কঠোর নিরাপত্তা সতর্কতায় স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে আজ শুরু হচ্ছে ২৬তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৬)। আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত স্কটিশ ইভেন্ট ক্যাম্পাসে (এসইসি) এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বের ১৯৬টি দেশের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এতে যোগ দিচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্ব নেতারা, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, মীমাংসাকারী ও সাংবাদিক। এছাড়া হাজার হাজার পরিবেশ কর্মী, অ্যাকটিভিস্ট ও অনেক ব্যবসায়ীও এতে হাজির হবেন।

কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ (কপ) ঘিরে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সম্মেলন স্থলসহ এর আশপাশের এলাকায় প্রতিদিন ১০ হাজার পুলিশ নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। নিরাপত্তার কারণে সম্মেলন চলাকালে বিশ্ব নেতাদের গ্লাসগোর পরিবর্তে এডিনবার্গে রাখা হবে। কপ২৬ চলাকালে বন্ধ থাকবে শহরের বড় বড় রাস্তাগুলো। প্রায় ৮শ সম্ভাব্য সন্ত্রাসী থাকবে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিতে।

সম্মেলন ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় স্কটল্যান্ডের ১৩টি বিভাগের অধিকাংশ পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত থাকবে। এদের মধ্যে রয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রসহ কর্মকর্তা, ডগ (কুকুর) স্কোয়াড, মাউন্টেড ব্রাঞ্চ, অনুসন্ধান দল ও মেরিন ইউনিট। সার্বিকভাবে কপ২৬ ঘিরে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত পরিচালিত বৃহৎ পুলিশিং অপারেশনগুলোর মধ্যে একটি বলে জানিয়েছে স্কটিশ পুলিশ। সম্মেলন চলাকালে পোপ ফ্রান্সিস, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিশ্ব নেতাদের নিরাপত্তার জন্য এডিনবার্গে রাখা হবে। ধীর ট্রাফিকের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা থেকে তাদের গ্লাসগোতে অবস্থানের ব্যবস্থা করা হয়নি। সম্মেলনের জন্য ব্রিটেনের রানি এডিনবার্গের হলিরুড প্যালেসে থাকবেন।

এবারের সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমানোর ব্যাপারে নিজেদের পরিকল্পনা উপস্থাপন করবে দেশগুলো। ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তিতে সই করা ২০০টি দেশ বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি যেন না বাড়ে, তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নিতে একমত হয়েছিল। এ চুক্তির আওতায় ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কার্যত শূন্যে নামিয়ে আনতে বিভিন্ন দেশকে এখন কার্বন নিঃসরণ ব্যাপক হারে কমাতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশসহ বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের জন্য ক্ষতিপূরণ নিয়েও সম্মেলনে অনেক বাগযুদ্ধ, টানাপোড়েন চলবে।

ধনী দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা ২০২০ সালের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেবে, যাতে তাদের পক্ষে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা সহজ হয়।

কিন্তু জাতিসংঘ সম্প্রতি বলেছে এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা হয়নি। ফলে এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য ধনী দেশগুলোর ওপর চাপ থাকবে।

দু’সপ্তাহের এ সম্মেলনে নতুন কিছু প্রতিশ্রুতি, অঙ্গীকারের ঘোষণা আসতে পারে। তার অনেকগুলোই খুব টেকনিক্যাল (যেমন-প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে আরও যেসব নীতি-কৌশল দরকার)। সম্মেলনের শেষে, একটি সর্বসম্মত ঘোষণা আসতে পারে বলে আশা হচ্ছে। সব দেশকে সেই ঘোষণায় সই করতে হবে।

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর