করোনাকালীন সময়েও বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ : পলক

আপডেট: November 28, 2021 |
print news

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, কৃষি ও কৃষককের উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সদা সচেষ্ট। তাই করোনাকালীন সময়েও বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

প্রতিমন্ত্রী আজ রোববার সিংড়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে প্রণোদনার আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বোরো উফসী ও হাইব্রিড ধানের বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

সিংড়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ সেলিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম এবং সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিতে ব্যাপকভাবে প্রযুক্তির সমাবেশ ঘটিয়েছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যম শুধু উৎপাদনই বৃদ্ধি পায়নি, উৎপাদন খরচও কমেছে। ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকদের নিকট হস্তান্তর করা হচ্ছে। কৃষকদের বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।

নিয়মিত প্রদান করা হচ্ছে প্রণোদনা এবং হস্তান্তর করা হচ্ছে উৎপাদনের নতুন নতুন প্রযুক্তি। এর সুফল হিসেবে উৎপাদন বেড়েছে বহুগুণে। সারা বিশ্ব করোনাকালীন সময়ে খাদ্য সংকটে পড়লেও বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।

পলক বলেন, কৃষির সমৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রমেও সহযোগিতা প্রদান করছে সরকার। দেশের কৃষি গবেষকরা জিংক সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ আবিষ্কার করেছেন। চলনবিলে এ ধান রোপণ করে শস্য ভান্ডারকে আরো সমৃদ্ধ করা হবে।

পলক আরো বলেন, চলনবিলসহ সারাদেশে একসময় বীজ ও সারের জন্যে হাহাকার ছিল। বিগত দিনে সারের জন্যে কৃষকদের রক্তাক্ত করা হয়েছে, তাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে।

বর্তমান সরকার পাঁচ দফায় সারের মূল্য হ্রাস করে সহজলভ্য করেছে। কৃষকদের মাঝে উন্নত বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। সেচের জন্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধার পাশাপাশি সেচেও ভর্তুকি প্রদান করা হচ্ছে। কৃষকদের সেচ সুবিধা প্রদান করতে চলনবিলে ১২০ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়েছে। সূত্র: বাসস

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর