আজ বিশ্ব এইডস দিবস

বিশ্ব এইডস দিবস বুধবার (১ ডিসেম্বর)। বাংলাদেশে প্রতিবারের মতো এবারও দিবসটি পালন করার যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

১৯৮৮ সাল থেকে থেকে মরণঘাতি এইডস রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা হয়।

বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক উপস্থিত থাকবেন।

ইউএনএইডসের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৩৪ মিলিয়ন এইডস আক্রান্ত রোগী রয়েছে এবং প্রায় ৩৫ মিলিয়ন মানুষ এ মরণঘাতি রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

বর্তমানে এইডস একটি ভয়াবহ রোগ হিসেবে বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক হয়ে আছে। সর্বপ্রথম ১৯৮১ সালে আমেরিকায় এই রোগ শনাক্ত হয়। ১৯৮৫ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রক্ত পরিসঞ্চালনের আগে রক্তে এইচআইভি ভাইরাস জীবাণুমুক্ত কি না স্ক্রিনিং করে নিশ্চিত হওয়ার পরই কেবল রক্ত সরবরাহ করার পরামর্শ দেয়। এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু অনিবার্য ছিল একসময়, তখন এই রোগকে ঘাতক রোগ বলা হতো।

চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, মানবদেহে বিভিন্নভাবে এইডস রোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে। এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত বা বীর্য বা জরায়ু রসের সংগে যদি সুস্থ কোনো ব্যক্তির রক্ত, শরীর রস বা মিউকাস আবরণের সংস্পর্শ ঘটে, তাহলে এইচআইভি তথা এইডস রোগের বিস্তার ঘটে। এসব সংস্পর্শ নানাভাবে ঘটতে পারে। যেমন- কনডম ব্যবহার না করে অবাধ যৌন সহবাস, এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত শরীরে ধারণ বা গ্রহণ, অঙ্গ প্রতিস্থাপন বা দাঁতের চিকিৎসা বা অপারেশনসহ আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত সিরিঞ্জ ব্যবহার। এমনকি সংক্রমিত গর্ভবতী নারী থেকে শিশুর দেহে পর্যন্ত এ রোগ ছড়াতে পারে।

এইচআইভি নামক ভাইরাস সর্বপ্রথম আমেরিকায় বিজ্ঞানীদের কাছে ধরা পড়লেও রোগটি আফ্রিকা থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা করা হয়। ইতিমধ্যে এইডসের বিস্তার মহামারি রূপ নিয়েছে বলে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বৈশাখী নিউজ/ এপি