সরঞ্জাম নেয়ার অনুমতি দিতে ইয়েমেন সরকারের প্রতি জাতিসংঘের আহ্বান

আপডেট: January 2, 2022 |

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেন সরকারের প্রতি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত রাজধানী সানার বিমানবন্দরে যোগাযোগের সরঞ্জাম প্রবেশের অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর এএফপি’র।

ইয়েমেনে জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারি ডেভিড গ্রেসলি শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় মানবিক সাহায্যের ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেছে। তাতে সাহায্য অভিযান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”

তিনি বলেন, ‘আমি ভবিষ্যতেও এ ধরনের বাধার বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন রয়েছি।”

২০১৪ সাল থেকে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত ইয়েমেন সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট সমর্থিত সরকারকে হটিয়ে দিয়েছে। উত্তরের অনেকাংশ ইরান সমর্থিত হুথিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত রাজধানীতে ২০১৬ সালের আগস্ট মাস থেকে ফ্লাইট অনেকাংশে সৌদি-নেতৃত্বের অবরোধের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে জনগণের সাহায্যের লক্ষ্যে একটি মূল লাইফলাইন ফ্লাইটকে ছাড় দেওয়া হয়। হুথিদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করার অভিযোগ এনে জোট বিমানবন্দরটিতে এক বিমান হামলা চালানোর পর গত ডিসেম্বরে সানা বিমানবন্দর বেশ ক’দিন বন্ধ ছিল।

হুথিরা ২৭ ডিসেম্বর বিমানবন্দরটি পুনরায় খুলে দেয়।

গ্রেসলি বিমানবন্দরের পুনরায় খুলে দেয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে সেখানে ত্রুটিপূর্ণ যোগাযোগের যন্ত্রপাতি পাওয়া গেছে বলে তিনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সানায় বেসামরিক বিমান চলাচল ও আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ (সিএএমএ) সরঞ্জাম অপ্রচলিত ও অকার্যকর মনে করছে।’

তিনি জানান, ‘জাতিসংঘের মানবিক ফ্লাইট ক্রুরা রিপোর্ট করেছে, সেখানে তারা এয়ার কন্ট্রোল টাওয়ারের সাথে যোগাযোগ করতে অক্ষম বা অস্পষ্ট যোগাযোগের এমন অন্তত ১০টি উদাহরণ তুলে ধরেছে। তিনি একটি সম্ভাব্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি মোকাবিলার আশংকায় নতুন যন্ত্রপাতি আমদানির অনুমতি দেয়ার জন্য ইয়েমেন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

ইয়েমেন সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে ডেভিড গ্রেসলি বলেন, ‘জাতিসংঘ থেকে বেশ ক’বার অনুরোধ সত্ত্বেও সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট স্থানান্তরের অনুমোদন দেয়নি।’

গ্রেসলি বলেন, ‘ইয়েমেনে মানবিক ফ্লাইট ও সাহায্য কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সানা বিমানবন্দরের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করায় জন্য সরঞ্জামগুলোর প্রয়োজন। ইয়েমেনের পরিস্থিতিকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।’

জাতিসংঘ অনুমান করেছে যে সংঘাতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৭ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

বৈশাখী নিউজ/ ফাজা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর