নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে: সেতুমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সারাদেশে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচন অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আশা করছি, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ পরবর্তী নির্বাচনসমূহ সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিবৃতিতে তিনি যেকোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আরও তৎপর থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং কমিশনের কাজে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না। ভোটারদের নিরাপত্তা বিধান এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় এবং আইনগত ক্ষমতা প্রয়োগে সরকার সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করতে বদ্ধপরিকর। আশা করি, আগামীতে যে কোনো ধরনের নির্বাচনী সহিংসতা এড়াতে কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও তৎপর থাকবে।

তিনি বলেন, পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলসমূহের সংলাপ চলমান রয়েছে। স্টেকহোল্ডার হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আগামী ১৭ জানুয়ারি সংলাপে অংশ নিবে। একটি অর্থবহ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শক্তিশালী কমিশন গঠনে আওয়ামী লীগের মতামত ও প্রস্তাবনা সংলাপে উপস্থাপন করা হবে।

আমরা মনে করি, পারস্পরিক আলোচনা যে কোনো জটিল সমস্যার সমাধানের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে। সংঘাত, সহিংসতা, জনমতবিরোধী তৎপরতা গণতন্ত্রের এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

অন্যদিকে আলাপ-আলোচনা, সংলাপ, পরমতসহিষ্ণুতা গণতন্ত্র বিকাশের পথকে কুসুমিত করে। যারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধারণ করে না, যারা রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ ও প্রচলিত গণতান্ত্রিক রীতি-নীতিতে শ্রদ্ধাশীল নয়; তারা সংলাপে আস্থা রাখে না। বরং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নস্যাৎ করতে চায়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপি নেতারা বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক সমাবেশের নামে সন্ত্রাস ও সহিংসতার উস্কানি দিচ্ছেন। কেউ কেউ আরেকটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলছেন, ডাইরেক্ট অ্যাকশনের হুমকি দিচ্ছেন। আসলে পায়ের নিচে মাটি নেই বলে তাদের নিজেদের উপর জেঁকে বসা ভয় তাড়ানোর নির্জীব হুংকার এসব। আত্মবিশ্বাস হারানো এক ক্ষয়িষ্ণু রাজনৈতিক দলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের কাছে প্রশ্ন রাখেন, আমরা জানতে চাই, কাদের নিয়ে তারা যুদ্ধ করবেন? কেন যুদ্ধ করবেন? তাদের যুদ্ধ কী লুটপাট, দুর্নীতি আর অরাজকতা সৃষ্টির জন্য? আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগও প্রস্তুত।

যারা মানুষের মৌলিক অধিকার হরণকারী, দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষক, উগ্র-সাম্প্রদায়িকতার ধারক ও বাহক হিসেবে পরিচিত এবং যারা স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতা ও স্বেচ্ছাচারিতামূলক অপরাজনীতির উত্তরাধিকার তাদেরকে জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

তাদের যে কোনো ধরনের আস্ফালনকে সর্বাত্মকভাবে প্রতিহত করা হবে। জনগণ আজ সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণের চলমান সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা