বিমানবন্দরের কাছে ফাইভ জি চায় না এয়ারলাইনগুলো
ফাইভ জি প্রযুক্তি নিয়ে বিপর্যয়ের আশঙ্কা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বড় এয়ারলাইনগুলো। সংস্থাগুলো মনে করছে, বিমানবন্দরের নিকটবর্তী এলাকায় টেলিকম সংস্থাগুলি ফাইভ জি প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ না করলে বিমান চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
বিমানের উচ্চতা পরিমাপের ক্ষমতায় সরাসরি আঘাত আনতে পারে ফাইভ জি, এয়ারলাইন ও বিমান নির্মাতা সংস্থাগুলি এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। ফলে দুবার মার্কিন টেলিকম জায়ান্ট এটি অ্যান্ড টি এবং ভেরাইজনের নতুন ফাইভ জি প্রযুক্তি চালু করা পিছিয়ে যায়।
উড়ান সংস্থার আর্জি, দেশের সর্বত্র ফাইভ জি চালু হোক। তাতে সমস্যা নেই। শুধু বিমানবন্দরের দুই মাইলের আশপাশে যেন ফাইভ জি চালু না হয়।
পরিবহণ সচিব পিট বুটিজিজ-সহ একাধিক সরকারি কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে বিমান সংস্থার সিইও জানিয়েছেন, ফাইভ জি চালু হলে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটবে। শুধু তাই নয়, উড়ানের যন্ত্রাংশের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন না করে এই প্রযুক্তি আরোপ করলে সমস্যা আরও জটিল হবে।
ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রেগুলেটর জানিয়েছে, ৮৮টি বিমানবন্দরের মধ্যে ৪৮টির ক্ষেত্রে ফাইভ জির প্রভাব পড়বে। এয়ারলাইনগুলোর আশঙ্কা, যন্ত্রাংশের সমস্যায় বেশ কয়েকটি বিমানের চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বার্ষিক ১৫ হাজার বিমান চলাচলে সমস্যা হলে ১২ লাখ ৫০ হাজার যাত্রীর উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
ফাইভ জির নয়া নিয়ম কার্যকর হলে হিউস্টন, লস অ্যাঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো, শিকাগোর মতো শহরের ক্ষেত্রে বিমান চলাচলে প্রভাব পড়তে বাধ্য, জানিয়েছে এয়ারলাইনগুলো।