নতুন করে বাংলাদেশে বেকার হবে ৩৬ লাখ মানুষ: আইএলও

দুই বছর ধরে করোনার বিস্তার এবং নতুন ধরন ওমিক্রনের ধাক্কায় চলতি বছর বাংলাদেশে নতুন করে বেকার হবে ৩৬ লাখ মানুষ। পাশাপাশি বিশ্বে বেকারের সংখ্যা ছাড়াবে ২০ কোটি ৭০ লাখ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলওর হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রায় দু’বছরের করোনা মহামারির কারণে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া ধীর হয়েছে। সেসাথে, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় মানুষ কাজ পাচ্ছে না, আবার কর্মচ্যুতও হচ্ছেন। ফলে বেড়েছে বেকারত্ব।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও বলছে, দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা মহামারি ও নতুন ধরন ওমিক্রনের ধাক্কায় চলতি বছরের শেষে বিশ্বে বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়ে হবে ২০ কোটি ৭০ লাখ। মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালের তুলনায় এ সংখ্যা ২ কোটি ১০ লাখ বেশি। সম্প্রতি সংস্থাটির প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোস্যাল আউটলুক’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে নতুন করে বেকার হবে ৩৬ লাখ মানুষ। বাংলাদেশের শ্রম শক্তির প্রায় ৫ শতাংশ বেকার থাকবে। মহামারির পূর্বে অর্থাৎ ২০১৯ সালে এই হার ছিল ৪.৪ শতাংশ। চলতি বছর তা বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৬ শতাংশ।

আইএলও বলছে, ২০২২ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় ৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বেকার থেকে যাবে। এর মানে, সারা বিশ্বের বেকারদের মধ্যে প্রতি চারজনে একজন হবে দক্ষিণ এশীয়। তবে সংস্থাটি বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানের অবস্থা তুলানামূলক ভালো থাকবে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাসচিব গাই রাইডার বলেন, ‘অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সোচ্চার পশ্চিমা দেশগুলো। সে তুলনায় পিছিয়ে আছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকা। তাই আসন্ন এ পরিস্থিতিতে ব্যাপক চাকরির সুযোগ তৈরি হয় এমন খাতগুলোয় বিনিয়োগ করা উচিৎ।’

মহামারির গতিপথ ও সময়কাল সম্পর্কে অনিশ্চয়তার কারণে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চাকরির বাজারে এই অনিশ্চয়তা থাকবে বলে আশঙ্কা করছে আইএলও। যেখানে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও কমতে পারে বলে আশংকা আর্ন্তজাতির্ক শ্রমসংস্থার।

বৈশাখী নিউজ/ বিসি