তামিমের সেঞ্চুরিতে ম্লান হলো সিমন্সের সেঞ্চুরি

আপডেট: January 29, 2022 |

ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ পেয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। সিলেট সানরাইজার্সকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা। ফলে তামিমের সেঞ্চুরির কাছে ম্লান হয় সিমন্সের ১১৬ রান।

প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৫ রান করে সিলেট। জবাবে ১৭ ওভারে ১ উইকেটে ১৭৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে ঢাকা। তামিম অপরাজিত ১১১ রান ছাড়াও দলের আরেক ওপেনার শাহজাদও হাফ সেঞ্চুরি করেন।

পাঁচ ম্যাচ শেষে দুই জয় ও তিনটি হার আছে ঢাকার। আর তিন ম্যাচে ১ জয় ও ২ হার সিলেটের।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ব্যাট হাতে শুরুতেই ঢাকার বোলারদের উপর চড়াও হন সিলেটের দুই ওপেনার ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার লেন্ডন সিমন্স ও এনামুল হক বিজয়। ৩৫ বল খেলে দলের স্কোর ৫০-এ নিয়ে যান তারা।

১৬ বলে ১৮ রান করা এনামুলকে শিকার করে ঢাকাকে প্রথম উইকেট উপহার দেন পেসার এবাদত হোসেন। এরপর মিডল-অর্ডারে মোহাম্মদ মিঠুন ৬ ও দক্ষিণ আফ্রিকার কলিন ইনগ্রাম শূন্য রানে বিদায় নেন। ইনগ্রামকে রানের খাতা খুলতে দেননি ঢাকার পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজা।

৬৫ রানে ৩ উইকেট পড়লেও ব্যাট হাতে মারমুখী মেজাজে ছিলেন সিমন্স। ৩৪ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৬০তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ইংল্যান্ডের রবি বোপারার সাথে চতুর্থ উইকেটে ৬৩ রান যোগ করেন সিমন্স। ১৩ রান করে আউট হন বোপারা।

পঞ্চম উইকেটে সিলেটের অধিনায়ক মোসাদ্দেকের সাথে জুটি গড়ে এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সিমন্স। ৫৯ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলেন তিনি। আর বিপিএলের ইতিহাসে ২২তম সেঞ্চুরিম্যান সিমন্স। ১৯তম ওভারে আউট হবার আগে ১১৬ রান করেন এই ডান-হাতি ব্যাটার। তার ৬৫ বলের ইনিংসে ১৪টি চার ও ৫টি ছক্কা ছিলো।

সিমন্সের সেঞ্চুরিতেই ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৫ রান পায় সিলেট। মোসাদ্দেক অপরাজিত ছিলেন ১৩ রানে।

১৭৬ রানের জবাবে প্রথম ওভারেই উইকেট হারাতে বসেছিলো ঢাকা। তাসকিন আহমেদের করা প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান তামিম ইকবাল। জীবন পেয়ে সিলেটের বোলারদের উপর চড়াও হন তামিম। চার-ছক্কার ফুলঝুড়িতে পাওয়ার প্লেতেই হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ২৭ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৪৩তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন ওই ওপেনার।

হাফ-সেঞ্চুরির পরও নিজের মারমুখী মেজাজ ধরে রেখেছিলেন তামিম। আর দশম ওভারে ব্যক্তিগত ৭৫ রানে দু’বার জীবন পান তামিম।

তামিমের ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের সামনে ঢাকা পড়েছিলেন আরেক ওপেনার আহমেদ শাহজাদ। যখনই স্ট্রাইকে গেছেন রানের গতি ধরে রেখে খেলেন তিনি। ১৫তম ওভারে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ২৬তম হাফ-সেঞ্চুরি পান শাহজাদ।

১৬ ওভার শেষে ঢাকার জিততে দরকার ছিলো মাত্র ১৬ রান। তখন সেঞ্চুরি থেকে ৪ রান দূরে ছিলেন তামিম। আলাউদ্দিন বাবুর করা ১৭তম ওভারের তৃতীয় বলে লং-অফ দিয়ে চার মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তামিম। তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ ও বিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এটি।

২০১৯ সালে মিরপুরে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে সেঞ্চুরি করে ১৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন তামিম।

তামিমের সেঞ্চুরির পর ওই ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন শাহজাদ। ৩৯ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৩ রান করেন এই আফগান। আর ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি দিয়ে ঢাকাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তামিম। ৬৪ বলে ১৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১১১ রানে অপরাজিত থেকে যান তামিম ইকবাল।

শাহজাদের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে ১৭৩ রান করেন তামিম। বিপিএলের ইতিহাসে পঞ্চম সর্বোচ্চ ও উদ্বোধনী জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি এটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট সানরাইজার্স : ১৭৫/৫, ২০ ওভার (সিমন্স ১১৬, এনামুল ১৮, মাশরাফি ১/২৯)।
মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা : ১৭৭/১, ১৭ ওভার (তামিম ১১১*, শাহজাদ ৫৩, বাবু ১/৩২)।

ম্যাচ সেরা নির্বাচন হন তামিম ইকবাল।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর