তাইওয়ানকে ১০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম দেবে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট: February 8, 2022 |
print news

তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে উত্তেজনা চলছে পশ্চিমা বিশ্বের। ভূখণ্ডটিকে বেইজিংয়ের প্রদেশ হিসেবে দেখাতেও কম চেষ্টা করছে না এশীয় এই পরাশক্তি দেশটি। এই পরিস্থিতিতে তাইওয়ানের সঙ্গে ১০ কোটি মার্কিন ডলারের প্রতিরক্ষা সহায়তা চুক্তি অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে চীনের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, তাইওয়ানের এয়ার-ডিফেন্স মিসাইল ব্যবস্থার উন্নতি ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবে ওয়াশিংটন। আর তাই ভূখণ্ডটিকে ১০ কোটি ডলারের যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সেবা দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বাইডেন প্রশাসন। এটি দিয়ে দ্বীপরাষ্ট্রটির এয়ার-ডিফেন্স ব্যবস্থা উন্নত করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে আর্থিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ভারসাম্যের স্বার্থে তাইওয়ানের প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের উন্নতি করা হবে। গোটা কাজটাই করা হবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থে। নিজেদের স্বার্থেই যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করে গড়ে তুলতে চায় বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

তাইওয়ান পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ, যা তাইওয়ান প্রণালীর পূর্বে চীনা মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। অবশ্য তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং। গত বছরের অক্টোবরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছিলেন, মূল ভূখণ্ডের সাথে তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণ অবশ্যই সম্পূর্ণ করতে হবে। এজন্য সামরিক পথে অগ্রসর হওয়ার বিষয়টিও খোলা রেখেছে বেইজিং।

অন্যদিকে চীনের প্রদেশ নয়, বরং নিজেকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে মনে করে থাকে তাইওয়ান। চীনা প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যের জবাবে সেসময় তাইওয়ান জানায়, দেশের ভবিষ্যৎ তার জনগণের হাতেই থাকবে।

উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালে চীনে কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করার পর তাইওয়ান দেশটির মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যদিও তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং। এরপর থেকে তাইওয়ান নিজস্ব সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।

বৈশাখী নিউজ/ ফাজা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর