পুতিনের মাথায় কী ভাবনা ঘুরছে? জানার চেষ্টায় পশ্চিমা গুপ্তচরেরা

আপডেট: March 21, 2022 |

রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিন তার নিজস্ব এক ভুবনে আটকা পড়ে আছেন, আর এটা নিয়ে পশ্চিমা দেশের গুপ্তচরদের মনে দুর্ভাবনার অন্ত নেই।

পুতিনের মন কীভাবে কাজ করে, কী তার উদ্দেশ্য- গুপ্তচরেরা বহুদিন ধরেই তা জানতে চেয়েছেন, যাতে তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে একটা আগাম ধারণা পাওয়া যায়।

আর গুপ্তচরদের এই আকাঙ্ক্ষা আরও বেশি গুরুত্ব পেয়েছে ইউক্রেনে রুশ হামলার পর। তারা জানতে চান পুতিনের ওপর চাপ বেড়ে গেলে তার প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে।

তার মনের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারলে ইউক্রেন সঙ্কট যাতে আরও তীব্র না হয় তার একটা ব্যবস্থা খুঁজে পাওয়া যাবে।

একটা গুজব রয়েছে রাশিয়ার নেতা অসুস্থ, কিন্তু অনেক বিশ্লেষক মনে করেন তিনি একা হয়ে পড়েছেন, এবং তার নিজের ধারণা বা বিশ্বাসের বাইরে যেসব মতামত রয়েছে, তা তিনি দেখতে পাচ্ছেন না।

তার এই একাকীত্ব ফুটে উঠেছে তার ছবিতে। যেমন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁর সঙ্গে বৈঠকে দেখা গেছে একটা লম্বা টেবিলের দুই প্রান্তে দুজন নেতা বসে আছেন।

ইউক্রেনে হামলার ঠিক পুতিন রুশ নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে যে বৈঠক করছেন, সেই ছবিতেও এই চিত্র ফুটে উঠেছে।

ইউক্রেনে হামলার জন্য পুতিন যে প্রাথমিক পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন সেটি যেন এক কেজিবি অফিসারের তৈরি, ব্যাখ্যা করছেন একটি পশ্চিমা দেশের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

এটি তৈরি করেছেন একদল ষড়যন্ত্রকারীর মতো লোক, যারা গোপনীয়তার ব্যাপারটিকে খুবই গুরুত্ব দিয়েছেন। কিন্তু এর ফলে তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খল এক পরিস্থিতি।

এ হামলা চালানোর জন্য রুশ বাহিনীর কোন কোন অধিনায়ক একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না। ফলে অনেক রুশ সৈন্য ইউক্রেনের সীমান্ত অতিক্রম করেছে এটা না জেনেই যে কেন তারা এই হামলা চালাচ্ছে।
একক সিদ্ধান্তের মালিক

পশ্চিমা দেশের গুপ্তচরেরা তাদের নানা সূত্র থেকে এসব পরিকল্পনার কথা আগেই জানতে পেরেছিলেন। রাশিয়ার নেতৃত্বের অংশ এমন বহু লোক এসব পরিকল্পনার কথা জানতেন না।

এখন এসব গুপ্তচরের প্রধান ভাবনা রুশ নেতা এরপর কী করবেন সেটি খুঁজে বের করা। কিন্তু কাজটা সহজ নয়।

‘ক্রেমলিনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আঁচ করার ক্ষেত্রে প্রধান যে সমস্যা সেটা হলো- সব সিদ্ধান্ত নেন পুতিন নিজে,’ বলছেন জন সাইফার। মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএতে কাজ করা সময় তিনি রাশিয়া অপারেশন বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন।

পুতিন জনসমক্ষে যেসব বক্তব্য দেন তার মধ্য দিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানা গেলেও, কাজটা তিনি কীভাবে করবেন সেটা বড় একটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার।

ব্রিটিশ গুপ্তচর বিভাগ এসআইএস, যেটি এমআইসিক্স নামে বেশি পরিচিত, তার এককালীন প্রধান ছিলেন স্যার জন সয়্যার্স।

তিনি বলছেন, ‘রাশিয়ার মতো দেশে যেখানে গোয়েন্দা তথ্য জোগাড় করা কঠিন, সেখানে রুশ নেতার মাথার ভেতরে কী ভাবনা কাজ করছে সেটা জানতে পারা কঠিন এক চ্যালেঞ্জ। বিশেষভাবে যেখানে তার আশেপাশে অনেকেই জানেন না যে আসলে ঠিক কী ঘটতে চলেছে।’

‘বুদবুদে বাস করেন পুতিন’

পশ্চিমা গুপ্তচর কর্মকর্তারা বলছেন, পুতিন তার নিজের তৈরি একটি বুদবুদের মধ্যে বসবাস করছেন। বাইরে থেকে প্রকৃত তথ্য অনেক সময়েই তার কাছে পৌঁছায় না। বিশেষভাবে তার নিজের মতামতের বিরুদ্ধে কোন কথা কেউ বলে না।

‘তিনি নিজের অপপ্রচারের মধ্যে বন্দি হয়ে আছেন,’ বলছেন মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক এড্রিয়ান ফার্নাম, ‘তিনি বিশেষ কিছু লোকের কথা শোনেন। এর বাইরে অন্যরা যা বলেন তা তিনি শুনতে চান না। এর ফলে বাইরের দুনিয়া সম্পর্কে তার ভাবনা বেশ অদ্ভুত।’

অধ্যাপক ফার্নাম একটি বই লিখেছেন যার শিরোনাম ‘গুপ্তচরদের মনোজগৎ এবং গুপ্তচরবৃত্তি।’
এতে তিনি দেখিয়েছেন, ‘গ্রুপ থিংক’ বলে একটি বিশেষ সমস্যা যেখানে নেতার আশেপাশে সবাই শুধু তার মনোভাবকেই সমর্থন করে যায়।

‘তিনি যদি এই গ্রুপ থিংকের শিকার হন, তাহলে প্রথমে জানতে হবে এই গ্রুপে কে কে আছে,’ বলছেন অধ্যাপক ফার্নাম।

অবশ্যপুতিনের ঘনিষ্ঠ সার্কেলের সদস্য সংখ্যা খুব কম। কিন্তু ইউক্রেনে হামলা চালানোর সিদ্ধান্তর সাথে জড়িত ছিলেন আরও অল্প হাতে গোনা কিছু মানুষ।

পশ্চিমা স্পাই কর্মকর্তারা মনে করছেন, এদের সবাই ‘প্রকৃত অনুগত’ যাদের পুতিনের মতোই একই ধরনের ভাবনা-চিন্তা রয়েছে এবং মি. পুতিনের মতোই তাদের মনেও একই বিষয় নিয়ে মোহ কাজ করে।

পুতিনের ঘনিষ্ঠ সার্কেলের পরিধি যে কত ছোট – তার একটা ধারণা পাওয়া যায় ইউক্রেনে রুশ অভিযানের ঠিক আগে।

রুশ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে তিনি সে দেশের বহির্গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানকে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা করেন। সবার সামনে তাকে অপমান করেন।

এর কয়েক ঘণ্টা পরপুতিন যে ভাষণ দেন সেখানে ফুটে ওঠে এমন এক লোকের কথা যিনি খুব ক্রুদ্ধ, এবং ইউক্রেন ও পশ্চিমা দুনিয়া নিয়ে যিনি একেবারেই মোহগ্রস্ত।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের এসব কথাবার্তার ওপর যারা খুব কড়া নজর রাখেন তারা বলছেন, নব্বইয়ের দশকে রাশিয়া অবমাননার শিকার হয়েছে বলে যারা মনে করেন তাদের মতোই মি. পুতিন সেই সব অবমাননার উপযুক্ত জবাব দিতে চান।

পাশাপাশি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে দমিয়ে রাখতে চায় এবং তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে বলেও মি. পুতিন বিশ্বাস করেন।

পুতিনের সাথে দেখা হয়েছে এমন এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, একটা ভিডিও পুতিন বার বার করে দেখেন। সেটা হলো লিবিয়ায় নেতা কর্নেল গাদাফির পতনের পর তার হত্যার দৃশ্য।

সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নসকে একবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল প্রেসিডেন্ট পুতিনের মানসিক অবস্থা বিশ্লেষণ করতে।

তিনি বলেছিলেনপুতিনের মনে ‘বহু বছর ধরে ক্ষোভ আর উচ্চাকাঙ্ক্ষা একসাথে মিলেমিশে টগবগ করছে।’
সিআইএর প্রধান বলেন, এই দুটি বিষয় রুশ নেতার মনকে আগের চেয়ে কঠোর অবস্থানে নিয়ে গেছে এবং বিপরীতমুখী চিন্তাভাবনাগুলো এখন তার কাছে পৌঁছায় না।

তাহলে পুতিন কি মানসিকভাবে অসুস্থ? পশ্চিমা দেশের অনেকেই এই প্রশ্ন বহু বছর ধরে করে আসছেন।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা। এই বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন এমন একজন মনোবিজ্ঞানী বলছেন, পুতিনের মানসিক ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন করা হবে ভুল। ইউক্রেনে হামলা চালানোর সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তিগুলো বুঝতে পারছি না বলেই পুতিন ‘পাগল’ এটা মনে করা ঠিক হবে না।

সিআইয়ের মধ্যে একদল কর্মী রয়েছেন যাদের প্রধান কাজ হচ্ছে বিদেশে যারা সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাদের ‘নেতৃত্বের পর্যালোচনা’ চালানো।

হিটলারের সময় থেকেই এই কাজটা হয়ে আসছে।

গোপন তথ্য বিশ্লেষণ করে এরা নেতাদের অতীত, ঘনিষ্ঠ মানুষজনের সাথে তাদের সম্পর্ক এবং তাদের স্বাস্থ্য ইত্যাদি সম্পর্কে তারা গবেষণা চালান।

তাদের আরেকটা সূত্র হচ্ছে নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে এমন লোকদের সাথে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করা।

২০১৪ সালে সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলের সাথে যখন প্রেসিডেন্ট ওবামার সাক্ষাৎ হয়েছিল সে সময় তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে প্রেসিডেন্ট পুতিন ‘এক ভিন্ন দুনিয়ায়’ বসবাস করেন।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ সম্প্রতি যখন পুতিনের সাথে বৈঠক করেন তখন তিনি দেখতে পান রুশ প্রেসিডেন্ট আগের তুলনায় ‘অনেক বেশি কঠোর এবং অনেক বেশি নিঃসঙ্গ।’

পুতিনের মনে কি কোন পরিবর্তন ঘটেছে?

অনেকে বিশ্বাস করেন, পুতিনের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছে, কিংবা তিনি যেসব ওষুধ খান তার কোনো প্রভাব পড়েছে। তবে এর পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।

অনেকে তার মানসিক কারণগুলো উল্লেখ করে বলেন, রাশিয়াকে রক্ষা করা কিংবা মহান দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে রাশিয়াকে পুন-প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় মি. পুতিনের হাতে এখন সময় কমে যাচ্ছে, সে জন্য তিনি হয়তো উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন।

কোভিড মহামারির সময়পুতিন সেলফ-আইসোলেশনে ছিলেন। সেটাও হয়তো তার মনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে বলে তারা বলছেন।

‘পুতিন হয়তো মানসিকভাবে অসুস্থ নন, তার মধ্যে হয়তো কোন পরিবর্তনও ঘটেনি। তবে সম্প্রতি তার মধ্যে ধৈর্য কমেছে, এবং তিনি হয়তো একাকীত্বে ভুগছেন,’ বলছেন কেন ডেকলেভা।

একসময় কূটনীতিক এবং ডাক্তার হিসেবে মার্কিন সরকারে কাজ করতেন কেন ডেকলেভা। বর্তমানে তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠান জর্জ ডাব্লিউ বুশ ফাউন্ডেশন ফর ইউএস-চায়না রিলেশনস-এর একজন ঊর্ধ্বতন ফেলো।
কিন্তু একটা উদ্বেগ হলো, পুতিন এতটাই নিজের তৈরি ঘেরাটোপে বন্দি হয়ে আছেন যে নির্ভরযোগ্য তথ্য তার কাছে পৌঁছুতে পারছে না।

ইউক্রেনে অভিযানের আগে তার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হয়তো এমন কোন কথা প্রেসিডেন্টকে জানাতে চায়নি যেটা শুনে তিনি মোটেই পছন্দ করবেন না।

এই যুদ্ধ কোন পথে যাবে, রুশ সেনাদের কোন ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে, তারা হয়তো সে সম্পর্কে সুন্দর একটা ছবি প্রেসিডেন্টের কাছে তুলে ধরেছে।

চলতি সপ্তাহেই একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলছিলেন, ইউক্রেনে রুশ সেনাদের অবস্থা যে কতটা বেহাল, সেটা সম্পর্কে পশ্চিমা গুপ্তচর সংস্থাগুলো যতটা জানে, ভ্লাদিমির পুতিন হয়তো ঠিক ততটা জানেন না।

ফলে, ইউক্রেনের পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে রুশ প্রেসিডেন্টের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

পুতিন সম্পর্কে ‘পাগল তত্ত্ব’

পুতিন তার ছেলেবেলার একটা গল্প প্রায়ই বলে থাকেন। একবার একটি ইঁদুরকে ধাওয়া করতে গিয়ে তিনি ইঁদুরটিকে কোণঠাসা করে ফেলেছিলেন। সেই অবস্থায় ইঁদুরটি কিশোর ভ্লাদিমিরকেই উল্টো আক্রমণ করে বসে। ফলে তাকে সেখান থেকে পালাতে হয়।

এখন পশ্চিমা নেতারা প্রশ্ন করছেন পুতিন কোণঠাসা হয়ে পড়লে কী করবেন?

‘এখন যে প্রশ্ন সেটা হলো সেই অবস্থায় তার নির্মমতা বেড়ে যাবে কীনা, অথবা ইউক্রেনে যে অস্ত্র তিনি এখন ব্যবহার করছেন তার থেকেও মারাত্মক অস্ত্র তিনি ব্যবহার করবেন কীনা,’ বলছিলেন পশ্চিমা রাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা।

তাদের শঙ্কা- তেমন পরিস্থিতিতে মি. পুতিন হয়তো রাসায়নিক কিংবা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন।

‘বিপদের কথা হলো মাথা গরম অবস্থায় তিনি পরমাণু অস্ত্রের বোতামটি টিপে দিতে পারেন,’ বলছেন এড্রিয়ান ফার্নাম।

তবে পুতিন নিজেই হয়তো তার এই ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চান যে তিনি খুবই বিপজ্জনক কিংবা যুক্তিহীন এক ব্যক্তি।

এটা পুরোনো এক কৌশল যার নাম ‘ম্যাড ম্যান থিওরি।’ এতে পরমাণু অস্ত্র হাতে রয়েছে এমন এক ব্যক্তি তার প্রতিপক্ষকে ভয় দেখাতে পারে যে পরিণতি যাই হোক না কেন সে ঐ অস্ত্র ব্যবহার করবে। এভাবে ভয় দেখিয়ে সে দাবি আদায় করে।

এসব কারণেই পুতিনের মনের গভীরে কী রয়েছে তা জানার চেষ্টা করা পশ্চিমা দেশের গুপ্তচরদের জন্য অতীতে যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে।

তার মনোভাব সম্পর্কে আগাম ধারণা পাওয়া এই জন্য দরকার যে কোন সহিংস প্রতিক্রিয়া না ঘটিয়ে তার ওপর কতটুকু চাপ প্রয়োগ করা যাবে তার একটা আন্দাজ পাওয়া।

‘পুতিনের খাতায় ব্যর্থতা বা দুর্বলতার কোন স্থান নেই। তিনি এসব ঘৃণা করেন,’ বলছেন কেন ডেকলেভা।
‘কোণঠাসা, দুর্বল পুতিন কিন্তু আরও বেশি বিপজ্জনক পুতিন। সে জন্য কোন কোন সময় ভালুককে খাঁচা থেকে বের করে তাকে জঙ্গলে ফিরে যেতে দেয়াই ভালো,’ বলছেন তিনি।

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর