হাওরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী

আপডেট: April 12, 2022 |

হঠাৎ পাহাড়ি ঢলে হাওরাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সরকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে থাকবে।

আজ মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে কৃষিমন্ত্রী এ কথা জানান। কৃষিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন উপস্থিত ছিলেন।

হাওরে কতটুকু বোরো ধান নষ্ট হয়েছে-জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এখনো সেই সময় হয়নি। এখন মেঘ আকাশে, আমি কৃষিমন্ত্রী হিসেবে সব সময়ই একটা আতঙ্কের মধ্যে থাকি, আমাদের চিন্তিত করে। প্রকৃতির ওপর তো আমাদের হাত নেই।

আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংসদেও আলোচনা করেছি, এমনিও যোগাযোগ রাখছি। তিনি বলেছেন, দেখো, প্রস্তুতি রাখো যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য। দুই দিনে অস্বাভাবিকভাবে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, আবার ১৪-১৫ তারিখে ভারতের চেরাপুঞ্জি ও মেঘালয়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

সেই বৃষ্টি যদি আল্লাহ সরিয়ে নেন বা কোনো পরির্তন হয়- এটাই আমরা আশা করি।’

তিনি বলেন, বোরোতে প্রতি বছর আমাদের ২ কোটি টন ধান উৎপাদন হয়, এর মধ্যে ১২ লাখ টন হয় হাওরে, যেটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে ১২ লাখ টনও বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। এটা আপনাদের জানা দরকার।

হাওরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হবে কি না, জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অবশ্যই আমাদের প্রণোদনা আছে। ওখানে আমন ওইভাবে হয় না, একটাই ফসল। আমরা ইতোমধ্যে কর্মসূচি নিয়েছি আউশে প্রণোদনা দেওয়ার জন্য। ক্ষয়ক্ষতি মেটানোর জন্য অবশ্যই চাষিদের পাশে এ সরকার থাকবে।

সারের ডিলারদের অনিয়ম বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিচ্ছিন্ন ঘটনা এমন হয়। এ মুহূর্তে সার নিয়ে তেমন সমস্যা নেই। আমি মিটিংয়ের আগেও অনেক চাষিদের সঙ্গে কথা বলেছি।

তবে কোন অনিয়ম হলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ সারের জন্য মানুষকে রক্ত দিতে হয়েছে, রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে।

কাজেই এখানে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করছি। সমন্বয়েরও ইনশাআল্লাহ কোনো সমস্যা নেই।

তিনি বলেন, আমাদের ছিল ৯ হাজার কোটি টাকা, কিন্তু আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি ৩০ হাজার কোটি টাকা।

ইউক্রেনের যুদ্ধ, সবকিছু মাথায় রেখে বাজেট আসতেছে। সারে ভর্তুকি বাড়ানোর বিষয়ে এখনও সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই। তাহলে তো এ ৩০ হাজার কোটি টাকারই একটা সংস্থান রাখতে হবে।

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর