পুরুষের বন্ধ্যত্ব ডেকে আনতে পারে ৫ খাবার

আপডেট: April 20, 2022 |

সন্তান পিতা-মাতার কাছে বিধাতার পক্ষ থেকে আর্শীবাদ স্বরূপ এক উত্তম উপহার। প্রত্যেক পিতা-মাতারই স্বপ্ন থাকে ফুটফুটে সন্তানের। তবে পৃথিবীতে বহু মানুষ চাইলেও সন্তানধারণ করতে পারেন না। এর একটি অন্যতম প্রধান কারণ পুরুষদের শুক্রাণুর সমস্যা।

পরিসংখ্যান বলছে, বিগত চল্লিশ বছরে বিশ্বে পুরুষদের শুক্রাণুর পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে গড়ে ৫৯ শতাংশ। তবে ঠিক কী কারণে এমনটা ঘটছে, তা নিয়ে নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা।

সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা বলছে, দৈনন্দিন জীবনচর্চা ও খাদ্যাভ্যাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে বন্ধ্যত্বর আশঙ্কা।

চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন খাবার খেলে বেড়ে যেতে পারে এই আশঙ্কা—

ট্রান্স ফ্যাট ও আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার শুক্রাণু উৎপাদনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে পারে। পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটিঅ্যাসিড অন্ডকোষে জমা হতে পারে। বীর্যে এই ধরনের স্নেহ পদার্থের উপস্থিতি শুক্রাণুর স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে পারে। কমাতে পারে শুক্রাণুর ঘনত্বও।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রক্রিয়াজাত মাংস শুক্রাণুর পরিমাণ হ্রাসের অন্যতম প্রধান কারণ। প্রক্রিয়াজাত মাংসেও প্রচুর পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট ও আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটিঅ্যাসিড থাকে। পাশাপাশি, এই ধরনের মাংসে কৃত্রিম সংরক্ষক ও উৎসেচকের অবশিষ্টাংশ থাকে। তা শুক্রাণু উৎপাদনে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

একাধিক গবেষণা বলছে, গাঁজা ও সিগারেট শুক্রাণুর সমস্যা ডেকে আনতে পারে। মাঝেমধ্যে মদ্যপান করলে খুব একটা অসুবিধা না হলেও, নিয়মিত অতিরিক্ত মদ্যপান শুক্রানুর গঠনগত বিকৃতি ঘটাতে পারে।

বর্তমানে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গবাদি পশুকে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকে। এর প্রভাব পরে দুধেও। এই ধরনের গবাদি পশুর দুধে স্নেহজাতীয় পদার্থ থাকে অনেক বেশি। সম্প্রতি ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সি যুবকদের উপর করা একটি সমীক্ষা বলছে, এ ধরনের দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য খেলে শুক্রাণুর চলাচল, গতি ও আকৃতিতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।

উৎপাদন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের জন্য ফসলে যে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, সে রাসায়নিক পদার্থগুলোও শুক্রাণুর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার, অধিকাংশ খাদ্যেই এ ধরনের রাসায়নিক মিশে থাকে, যা এড়িয়ে যাওয়া কঠিন। সবজি রান্নার আগে ভাল করে ধুয়ে নেওয়া ছাড়া এ ধরনের রাসায়নিক পদার্থ দূর করার কোনও অন্য উপায় নেই। তবুও শাক-সব্জি সম্পূর্ণ রাসায়নিক মুক্ত করা অত্যন্ত কঠিন।

সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন

বৈশাখী নিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর