লিটনের পর মুশফিকের সেঞ্চুরি, ছুটছে বাংলাদেশ
২৪ রানেই শেষ ইনিংসের অর্ধেক! সম্প্রতি এমন ধ্বংসস্তুপের মাঝে দাঁড়িয়ে ইমারত রচনা করতে পারেনি বাংলাদেশ। বরং তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ে ৪৩, ৫৩ কিংবা ৮০ রানেই গুটিয়ে গেছে। তবে এবার আর তেমন কিছু হতে দেননি মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস।
ঢাকার কোনো মাঠে ৭৩ বছর আগে গড়া এক রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছেন এই দুজনে। সঙ্গে দুই ব্যাটারই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। যাতে খাদের কিনার থেকে এখন চালকের আসনে উঠে বসেছে বাংলাদেশ।
সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে দারুণ খেলেও অল্পের জন্য শতক বঞ্চিত হন। আচমকাই বাইরের একটি বল তাড়া করার মাশুলটা শতক মিস করেই দিতে হয়েছিল লিটন দাসকে। ফিরেছিলেন ৮৮ রান করে।
তবে হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে এবার আর সেই ভুল করলেন না। ডানহাতি এই ব্যাটার লঙ্কানদের বিপক্ষেই তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক। ইনিংসের ৬৩তম ওভারের শেষ বলে পাঁচ রান নিয়েই ১৪৯তম বলে পৌঁছে যান তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে।
১৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে দুর্দান্ত এই শতক তুলে নিয়ে অপরাজিত আছেন ১২৭ রানের ইনিংস খেলে। ক্যারিয়ার সেরা এই ইনিংস খেলার পথে লিটন হাঁকিয়েছেন একটি ছক্কাও।
অন্যদিকে, মাত্র ২৪ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর লিটনকে নিয়ে দলের হাল ধরা মুশফিকও ছুটেছেন সঙ্গীর পথেই। এ দুজনের রেকর্ড গড়া ২৩০ রানের রেকর্ড জুটিতে খাদের কিনার থেকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের ইনিংসও।
যে জুটি গড়ার পথে লিটন-মুশফিক টপকে গেছেন ২০০৭ সালে কলম্বোয় সাগতিকদের বিপক্ষে ষষ্ঠ উইকেটে গড়া ১৯১ রানের জুটি। সেই জুটিতেও অবশ্য নায়ক ছিলেন মুশফিক, আর সঙ্গী ছিলেম মোহাম্মদ আশরাফুল।
এদিন লিটনকে নিয়ে নিজেরই সেই রেকর্ড ভাঙ্গেন মুশফিক। এদিন নতুন রেকর্ড গড়া এই জুটিতে মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত এই লিটল মাস্টারের অবদান ৯৫ রান। সেইসঙ্গে ২১৭ বলে ১১টি রানের সাহায্যে লঙ্কানদের বিপক্ষেই টানা দ্বিতীয় শতক হাঁকানোর পাশাপাশি তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ৯ম শতকটিও।
১০৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে অপরাজিত আছেন চট্টগ্রাম টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করা এই ব্যাটার।
এই দুজনের জোড়া শতকে চড়ে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৪৯ রান।