জাতীয় চা দিবস আজ

আপডেট: June 4, 2022 |

জাতীয় চা দিবস আজ। চা বোর্ডের উদ্যোগে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো এই দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এবারের চা দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘চা দিবসের সংকল্প, সমৃদ্ধ চা শিল্প’।

শনিবার দিবসটি উপলক্ষ্যে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়নে আলোচনা সভার পাশাপাশি চা মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় চা প্রদর্শন ও বিক্রি করবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া চা উৎপাদনকারী জেলাগুলোতেও থাকছে আলোচনা সভা, চা মেলা ও শোভাযাত্রা। গত বছর প্রথমবারের মতো জাতীয় চা দিবস উদযাপন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, চা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। সুদীর্ঘ ১৮০ বছর ধরে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে চা শিল্প গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। তিনি বলেন, ‘এক সময় চা ছিল আমাদের অন্যতম রপ্তানি পণ্য। পরবর্তী সময়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির ফলে চা রপ্তানি কমে গেলেও সরকার চায়ের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর ফলে ২০২১ সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ৯৬.৫১ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, চা রপ্তানির অতীত ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার রপ্তানি বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, চা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার বৃহদায়তন বাগানের পাশাপাশি সমতলে ক্ষুদ্রায়তন চা আবাদে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। গত দুই দশকে দেশের উত্তরাঞ্চলে সমতলে চা আবাদে বিপ্লব ঘটেছে।

জানা গেছে, ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনীছড়া চা বাগানে বাণিজ্যিকভাবে চা উৎপাদনের মাধ্যমে দেশে চা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান। তিনি ৪ জুন ১৯৫৭ থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ পর্যন্ত চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালনকালে চা শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় ১৯৫৭ সালে শ্রীমঙ্গলে চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ঢাকার মতিঝিলে চা বোর্ডের কার্যালয় স্থাপিত হয়।

চা শিল্পে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং চা বোর্ডে যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করতে ২০২০ সালের ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪ জুনকে জাতীয় চা দিবস ঘোষণা করা হয়।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর