শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বে বাংলাদেশ শান্তি ও উন্নয়নের রোল মডেল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বে বাংলাদেশ বর্তমানে শান্তির আবাস ও উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আজ সংসদে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন। ড. মোমেন বলেন, ‘জাতির পিতার পররাষ্ট্রনীতি সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ এ কার্যকর নীতি অনুসরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে আজ অনন্য এক মর্যাদার আসনে নিজকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
গত ৯ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার এই বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন। আজ বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়েছে। এর আগে গত ১৩ জুন সংসদে চলতি অর্থ বছরের সম্পুরক বাজেট পাস করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও বাজেট আলোচনায় আজ অংশ নেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সরকারি দলের শামসুল হক টুকু, আবু জাহির, আফতাব উদ্দিন সরকার, নেসার আহমেদ, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, আলী আজম, বেগম মেরিনা জাহান, আব্দুল মোমিন মন্ডল, আহমেদ ফিরোজ কবির, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী এবং আবদুস সালাম মুর্শিদী।
আলোচনায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল একটি সুখী সমৃদ্ধ উন্নত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার। ঘাতকের বুলেটে সে স্বপ্ন থমকে গিয়েছিল। তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শী আর সাহসী গতিশীল নেতৃত্বে গত একযুগে আজ বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবায়নের পথে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে।
বিশ্বের বুকে এ দেশ এখন উন্নয়নে বিস্ময় হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বঙ্গবন্ধুর নীতি অনুসরণে কার্যকর ও জনকূটনীতির মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি আরো উর্ধ্বে তুলে ধরতে কাজ করে চলেছে।
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো অর্থনৈতিক কূটনীতির মাধ্যমে বিদেশে দেশের পণ্যের বাজার সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে নতুন নতুন দেশে বাংলাদেশী পণ্যের বাজার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশী কর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষণসহ তাদের সহযোগিতা প্রদানের বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
এছাড়া নতুন নতুন শ্রম বাজার খুঁজে বের করে, তাতে এদেশীর কর্মীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। ড. মোমেন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত কয়েক বছরের কার্যকর ও জনকূটনীতির মাধ্যমে বিদেশের কাছে বাংলাদেশকে একটি অপার সম্ভাবনার দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে। আর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিনত হবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, শেখ হাসিনার সরকার একটি প্রযুক্তি নির্ভর উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গড়তে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে অবশ্যই প্রযুক্তির পথ ধরে এগিয়ে যেতে হবে। প্রযুক্তিকে এগিয়ে যাবার হাতিয়ার হিসাবে গ্রহণ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত এক যুগ ধরে জাতিকে সে পথে সাফল্যের সাথে পরিচালিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন।’ পলক গত এক যুগে দেশে প্রযুক্তি খাতের অর্জনগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে সংসদে তুলে ধরেন। পাশাপাশি আইসিটি খাতে তার মন্ত্রণালয়ের কর্মকান্ডও তিনি তুলে ধরেন।
সরকারি দলের অন্য সদস্যরা আলোচনায় অংশ নিয়ে বৈশ্বিক মহামারি করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরেন। বিশেষ করে বিশাল আকারের প্রনোদনার কথাও তারা উল্লেখ করেন।
তারা বলেন, এতো অর্জন, সাফল্যের পরও দেশে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। উন্নয়ন অগ্রগতি আবার থামিয়ে দিয়ে দেশকে আবার পিছনের দিকে নিয়ে যাওয়া, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস, স্বাধীনতার ইতিহাস আবার বিকৃত করার জন্য এ ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
অতীতের মতোই জনগণ এ ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে। আবারো আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে সরকার গঠন করে উন্নয়নের ধারাবাহিতা বজায় রেখে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিা করবে। তারা পদ্মা সেতু সম্পর্কে বলেন, শত ষড়যন্ত্র, প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে নিজস্ব অর্থায়নে বাঙালি জাতির স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৫ জুন এ সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ২৬ জুন থেকে যান চলাচল শুরু হবে। -বাসস