পশ্চিমা বিশ্বকে নতুন চ্যালেঞ্জ পুতিনের

আপডেট: July 8, 2022 |

যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে পরাজিত করা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, তারা আমাদের পরাজিত করতে চায়। সাহস থাকলে চেষ্টা করে দেখুক। তিনি আরও বলেন, মস্কোর ইউক্রেন অভিযানের মধ্যদিয়ে ‘বহুপাক্ষিক বিশ্ব ব্যবস্থা’র সৃষ্টির লড়াই জোরদার হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) পার্লামেন্ট নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

পশ্চিমা বিশ্বের চাপ উপেক্ষা করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর পাঁচ মাস ধরে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত পূর্ব-ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলের বেশিরভাগ দখল করে নিয়ে রুশ বাহিনী। এদিকে মস্কোকে ঠেকাতে ইউক্রেনকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা বিশ্ব।

এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার পাল্লামেন্টে বক্তব্য দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ রাশিয়া শুরু করেনি। বরং পশ্চিমা বিশ্বকে প্রতিরোধের চেষ্টা করছে মাত্র। তিনি আরও বলেন, শান্তি আলোচনার জন্য মস্কো এখনও প্রস্তুত। তাছাড়া সংঘাত যত দীর্ঘ হবে, আলোচনার সম্ভাবনা ততই ক্ষীণ হয়ে আসবে।

পশ্চিমা বিশ্বের প্রসঙ্গ টেনে পুতিন বলেন, এখন আমরা শুনছি তারা যুদ্ধক্ষেত্রে আমাদের পরাজিত করতে চায়। আপনারা এখানে কী বলতে পারেন? তাদের চেষ্টা করতে দিন।

তিনি আরও বলেন, আমরা অনেকবারই শুনেছি যে পশ্চিমারা চায় ইউক্রেনে সর্বশেষ মানুষটি জীবিত থাকা পর্যন্ত লড়াই চলুক। এটি ইউক্রেনীয় জনগণের জন্য কষ্টের বিষয়। তবে দেখে মনে হচ্ছে সবকিছু সে পথেই এগোচ্ছে।

রাশিয়ার অভিযোগ, পশ্চিমা বিশ্ব নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাশিয়ার অর্থনীতিকে দুর্বল করার মধ্য দিয়ে মস্কোর বিরুদ্ধে ছায়া যুদ্ধ চালাচ্ছে। ইউক্রেনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সরবরাহ জোরদার করেছে পশ্চিমা বিশ্ব।

পুতিন বলেন, সবার অবশ্যই জানা উচিত, আমরা এখন পর্যন্ত বড় আকারে কোনোকিছু শুরু করিনি। একই সময়ে আমরা শান্তি আলোচনা প্রত্যাখ্যান করিনি। তবে যারা আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে, তাদের জানা উচিত যে যত সময় গড়াবে আমাদের সঙ্গে আলোচনার পথ তত কঠিন হয়ে উঠবে।

ইউক্রেনের প্রধান আলোচক মিখাইলো পোদোলিয়াক চলতি সপ্তাহে এক টুইটার পোস্টে বলেন, এ সপ্তাহে মস্কোর সঙ্গে আলোচনা শুরুর জন্য তাদের কিছু শর্ত রয়েছে। সেগুলো হলো অস্ত্রবিরতি, জেড প্রতীকযুক্ত সেনা প্রত্যাহার, অপহৃত নাগরিকদের ফিরিয়ে দেওয়া, যুদ্ধাপরাধীদের বহিষ্কার, ক্ষতিপূরণ প্রক্রিয়া এবং ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের অধিকারের স্বীকৃতি।

বৈশাখী নিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর