জবির মূল ফটক: দিনে রিক্সা আর রাতে বাস স্ট্যান্ড
মোঃ আরিফ হোসাইন, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মূল ফটকের সমনে যখন তখন বাস এবং রিক্সা পার্কিং করে রাখা হয়। ফলে ফটকটি রাতে অনেকটা বাস স্ট্যান্ড এবং দিনে রিক্সা স্ট্যান্ডের মত রূপ ধারণ করে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
পুরাতন ঢাকার সদরঘাটে অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট পাঁচটি গেইট থাকলেও যাতায়াতের সুবিধার্থে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অধিকাংশ প্রধান ফটকটি ব্যবহার করে থাকে। এই ফটকটি চিত্তরঞ্জন এভিনিউ সড়কের পাশেই অবস্থিত। ব্যস্ত এই সড়কে সারাদিনই থাকে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ও সদরঘাটগামী মানুষের আনাগোনা। কিন্তু বেশ কিছুদিন যাবৎ বাস ড্রাইভাররা নির্ধারিত স্থানে পার্কিং না করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ও এর আশেপাশের এলাকায় বাস পার্ক করে রাখে, এবং একই অবস্থা দিনেও। দিনে রিক্সাগুলোর জন্যে এই ফটকটি রিক্সার দ্বারা আবদ্ধ হয়ে যায়।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্টাফরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনগুলো প্রাধান ফটকটি দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। কিন্তু প্রতিদিন এভাবে রিক্সা ও বাস পার্কিং করে রাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনগুলো প্রবেশ করতে সমস্যার সম্মুখীন হয়। এতে করে রাস্তা পারাপার সহ ক্যাম্পাসে যাতায়াতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তির শিকার হয়।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইয়ানূর আলম বলেন,”আমাদের ক্যাম্পাসের সামনে রাস্তাটি এমনিতেই অনেক সংকীর্ণ। ক্যাম্পাসের কিছু গাড়িও রাস্তার পাশে রাখে । আবার লোকাল গাড়ি গুলো যাত্রী তোলার জন্য রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। প্রায় সময় দেখা যায় রিক্সা বাইক ও ছোট যানবাহনগুলো রাস্তা ব্লক করে রাখে। এতে করে রাস্তা পারাপার করতে রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়।”
মূল ফটকের নিরাপত্তায় দায়িত্বরত দারোয়ান খলিল মিয়া বলেন,”আমরা তো চেষ্টা করি গেটের সামনের জায়গা খালি রাখতে কিন্তু রাস্তায় গাড়ির অনেক বেশি চাপ থাকলে অনেক সময় সেটা পারিনা”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন,”ডিএমপি কমিশনার এবং সিটি কর্পোরেশন বরাবর চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে , আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বার বার বলা হয়েছে , গাড়ি গুলো রাইসা বাজার মোড় দিয়ে ঘুরানো হলে গেটের সামনে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকবে না। যানজট ও কমে যাবে , শিক্ষার্থীদের ও সুবিধা হবে। আমরা তাই তাদের বার বার অনুরোধ করেছি।”