বৃষ্টির পানি পান করার জন্য নিরাপদ নয়: গবেষণা

আপডেট: August 11, 2022 |
print news

আমাদের এই পৃথিবীতে বিশুদ্ধ ও পানযোগ্য পানি হিসেবে যেসব উৎস বিবেচনা করা হয়, সেগুলোর অন্যতম বৃষ্টির পানি। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন, এই পানিও আর পান করার জন্য নিরাপদ নয়।

সুইডেনের স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বলছেন, পৃথিবীর সব প্রান্তে বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিকর পিএফএএস রাসায়নিক পাওয়া যাচ্ছে। আর এই রাসায়নিকের মাত্রা এমন মাত্রায় পাওয়া যাচ্ছে, যা আর পানের জন্য নিরাপদ নয়।

পিএফএএসকে ‘ক্ষতিকর রাসায়নিক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এই রাসায়নিক পদার্থ সহজে নষ্ট হয় না। প্যাকেজিং, শ্যাম্পু, মেকআপে প্রাথমিকভাবে এই রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছিল। এসব উপাদান থেকে এই রাসায়নিক পানি ও বাতাসে ছড়িয়েছে।

এ নিয়ে বিস্তৃত একটি গবেষণা করেছেন স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। এরপর এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রকাশ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক সাময়িকী এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে। এই গবেষণা দলে ছিলেন স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়ান কাসিনস। তিনি গবেষণাপত্রটি লিখেছেন। এই অধ্যাপক বলেন, ‘আমরা যে মাত্রা নির্ধারণ করেছি, সেই অনুসারে পৃথিবীর কোনো অঞ্চলের বৃষ্টির পানি আর নিরাপদ নয়।’

এই গবেষণার জন্য ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত নথি সংগ্রহ করেছেন বিজ্ঞানীরা। ইয়ান বলেন, সুপেয় পানির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি যে দিকনির্দেশনা দিয়েছে, সে অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা তিব্বত—কোনো স্থানের বৃষ্টির পানি পানের পর্যায়ে নেই।

গবেষণায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পানযোগ্য পানির দিকনির্দেশনা অনুসারে পানিতে পিএফএএসের যে মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তার চেয়ে এই দুই অঞ্চলের বৃষ্টির পানিতে পিএফএএসের মাত্রা ১৪ গুণ বেশি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, পিএফএএস এতটাই ক্ষতিকর রাসায়নিক যে এটা শিশুদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থায় প্রভাব ফেলে। এতে টিকাও ঠিকঠাক কাজ করে না। এ ছাড়া নারীর গর্ভধারণ ক্ষমতা, শিশু বেড়ে ওঠা ধীর হওয়া, স্থূলতা, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি ও বিভিন্ন ক্যানসারের জন্যও দায়ী এই রাসায়নিক।

এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে পানযোগ্য পানিতে পিএফএএসের মাত্রা কমিয়ে নতুন মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কারণ, পিএফএএস একবার পাকস্থলীতে প্রবেশ করলে সেটি আর শরীর থেকে বের হয় না।

স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়ান কাসিনস বলেন, পিএফএএস এখন অনেক বেশি স্থিতিশীল ও সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে।

সূত্র: ইউরো নিউজ

বৈশাখী নিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর