জালিয়াতির মাধ্যমে মসজিদ বাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজের কাছে জমি বিক্রির অভিযোগ

আপডেট: August 18, 2022 |

শফিক শাহিন,বানারীপাড়া প্রতিনিধি: বরিশালের বানারীপাড়ায় জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকৃত মালিকের সম্পত্তি উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের মসজিদবাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজের কাছে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যপারে সম্প্রতি বরিশাল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ওই জমির প্রকৃত মালিকের ওয়ারিশ দাবিদার আ. খালেক সরদার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

এতে মসজিবাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজের গর্ভনিংবডির সভাপতি সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নুরুজ্জামান তোতা ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম ফিরোজকে বিবাদী করা হয়েছে ।

এছাড়াও বরিশালের বিজ্ঞ বানারীপাড়া সহকারি জজ আদালতে আ. খালেক সরদার বাদী হয়ে এ বিষয়ে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

এতে মসজিবাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজের গর্ভনিংবডির সভাপতি সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নুরুজ্জামান তোতা,ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম ফিরোজ,জালিয়াতির মাধ্যমে জমির বিক্রেতা আবু হানিফ মোল্লা,আব্দুস সাত্তার মোল্লা,মিনারা বেগম ও মমতাজ বেগমকে বিবাদী করা হয়েছে।

এ ছাড়াও বরিশালের জেলা প্রশাসক,বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারি কমিশনার (ভূমি),উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত হাজী করম আলী সরদারের মৃত্যুর পরে তার ছেলে আ.খালেক সরদারসহ ৪ ছেলে ও ২ মেয়ে সম্পত্তির ওয়ারিশসূত্রে মালিক হন। সন্ধ্যা নদী ভাঙনের কারনে পার্শ্ববর্তী মসজিবাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজটি সাতবাড়িয়া গ্রামে স্থানান্তর করা হয়। ওই গ্রামের মৃত করম আলী সরদার ও মৃত আবুল হাসেম মোল্লা জীবদ্দশায় ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন। তারা দুই বন্ধু সাতবাড়িয়া গ্রামে ১৯৫০ সালে ২ একর এক শতক সম্পত্তি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ১৯৬১ সালে আবুল হাসেম মোল্লা তার বন্ধু করম আলী সরদারের কাছে তার অংশের এক একর আধা শতক সম্পত্তি বিক্রি করেন। ক্রয়কৃত ওই সম্পত্তি ২০১০ সালে করম আলী সরদারের ওয়ারিশগণ তাদের নামে নামজারি (রেকর্ড) করেন। এ নামজারির বিষয়টি সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের বালাম বহিতে অর্ন্তভূক্ত না হওয়ার সুযোগে আবুল হাসেম মোল্লার ওয়ারিশগণ পূর্বের প্রিন্ট পর্চার রেকর্ডীয় মালিক দেখিয়ে মসজিদবাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজের কাছে ৫০ শতক বিক্রি করেন।

এ বিষয়টি জানতে পেরে ওয়ারিশ সূত্রে সম্পত্তির প্রকৃত মালিকগণ উক্ত দুটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা দুটি বিচারাধিন থাকায় আদালতের নির্দেশে বানারীপাড়া থানা পুলিশ গিয়ে বিরোধপূর্ণ ওই সম্পত্তিতে মসজিদবাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে বালু ভরাট কিংবা কোন স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য নিষেধ করেন।

এ বিষয়ে মসজিদবাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের রেকর্ড অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের নামে আমরা ৫০ শতক সম্পত্তি ক্রয় করেছি। ওই সম্পত্তি নিয়ে মামলা হওয়ার পরে জানতে পেরেছি অন্যজনের নামে বানারীপাড়া উপজেলা ভূমি অফিসে রেকর্ড রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মসজিদবাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজের গর্ভনিংবডির সভাপতি সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুরুজ্জামান তোতা বলেন, কাগজপত্র সঠিক দেখেই নদী ভাঙনের শিকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নামে ওই সম্পত্তি ক্রয় করা হয়েছে। এখন অন্য কেউ মালিকানা প্রমান করতে পারলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর