নির্বাচনে ইভিএমের প্রচারণায় ২০৬ কোটি টাকা চায় ইসি

আপডেট: October 21, 2022 |

আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে প্রচার চালাতে ২০৬ কোটি টাকা খরচ করতে চায় নির্বাচন কমিশন। ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণায় এই খরচ করা হবে। আর ইভিএম ব্যবহারের পুরো প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই উদ্যোগ অপ্রয়োজনীয় ও অগ্রহণযোগ্য।’

বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের আপত্তির পরও আগামী সংসদ নির্বাচনে দেড়শ’ আসনে ইভিএম ব্যবহারে সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এ জন্য ব্যয় ধরা হয় ৮ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। এরইমধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে সেই প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে কমিশন।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আমাদের প্রয়োজনটা জানানো হয়েছে। এটা না পেলে সামনের দিকে এগোনে কঠিন হবে।

প্রকল্পের নথি থেকে জানা যায়, নতুন করে ২ লাখ ইভিএম কিনবে কমিশন, যার প্রতিটির দর ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ শুধু ইভিএমের জন্য খরচ হবে ৬ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা। এছাড়া ২৬৪ কোটি টাকায় কেনা হবে গাড়ি, সিসিটিভি ক্যামেরা ও নিরাপত্তাসামগ্রীর ভাড়ায় লাগবে ১৩২ কোটি টাকা। লোকবলের বেতন বাবদ ১৯৬ কোটি ও কম্পিউটার সফটওয়্যারে জন্য ২২ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে।

এছাড়া প্রকল্পের ২০৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে জনসচেতনা ও ইভিএম ব্যবহারে কাজে। প্রচারের অংশ হিসাবে ভোটের ছয় মাস আগে থেকে ১৫০টি আসনে দেড় কোটি টাকা খরচে পাঁচ হাজার স্কুলে ফ্লোর গেম বিতরণ করা হবে। গ্রাম-হাটবাজারে মাইকিংয়ের জন্য খরচ হবে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আড়াই কোটি টাকায় ইভিএমের জন্য ইতিবাচক অডিও-ভিডিও বানানো হবে।

গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপনের ব্যয় ১৩ কোটি টাকা। গণপরিবহন, চায়ের দোকান, সেলুন, সুপারশপ ও ওষুধের দোকানে ব্যানার–ফেস্টুন টাঙাতে ব্যয় হবে ৫৫ লাখ টাকা। পাঁচটি আন্তর্জাতিক সেমিনারের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে দেড় কোটি টাকা।

তবে এ বিষয়ে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা এমনিতেই সংকটের মধ্যে আছি। এটা নিয়ে বাণিজ্য হতে পারে। এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।

বৈশাখী নিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর