গাজীপুরে আ.লীগের সম্মেলনে মন্ত্রী-এমপির সামনেই ভাংচুর

আপডেট: November 2, 2022 |

গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের মাঠে বুধবার বিকেলে বাসন থানা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে আংশিক কমিটি ঘোষণা পরই সভাস্থলে কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মী মন্ত্রী-এমপির সামনে বিক্ষোভ করে এবং শতাধিক চেয়ার ভাংচুর ও ব্যানার তছনছ করেছে ।

সম্মেলনে সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারীকে সভাপতি, মহানগর আওয়ামীলীগ সদস্য ফাইজুল আলম দীলিপকে সহ-সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বতমানে গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য মো. আবুল কাশেমকে সহ-সভাপতি এবং জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য ও ভাওয়াল বদরে আলম কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মো. শফিকুল ইসলাম শফি, মো. আমির হোসেন ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক রাকিব সরকারকে যুগ্ম সম্পাদক ঘোষণা করেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. আজমত উল্লাহ খান। এ কমিটি পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠণ করে নেবে।

এসময় সম্মেলনের প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, বিশেষ অতিথি গাজীপুরের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভুইয়া, গাজীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠণিক সম্পাদক মো. মির্জা আজম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রমূখ সম্মেলনের মে উপস্থিত ছিলেন।

গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বাসন থানা কমিটিতে সভাপতি পদে তিনজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ২০জন প্রার্থী প্রতিদ›দ্বী ছিলেন। পরে সভাপতি পদের প্রার্থীরা আব্দুল বারীকে সমর্থন দিয়ে নিজেরা সরে যান। তবে সভাপতি পদের প্রার্থীতা প্রত্যহারকারী মো. আবুল কাশেমকে সাধারণ সম্পাদক এবং মো. শফিকুল ইসলাম শফি, মো. আমির হোসেন ও রাকিব সরকারকে যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পরপরই একদল উচ্ছৃংখল বহিরাগত যুবক বিক্ষোভ শুরু করে এবং সম্মেলনস্থলে থাকা প্লাস্টিকের চেয়ার ভাংচুর ও আশেপাশে থাকা সম্মেলন উপলক্ষে টানানো বিভিন্ন প্রার্থীরা ব্যানার-ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে তছনছ করেছে। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।

বাসন থানার এসআই মো. ফারুক হোসেন জানান, নতুন ঘোষিত কমিটিতে কোন প্রার্থী কাঙ্খিত পদ না পাওয়ায় তার সমর্থিত নেতা-কর্মীরা এক কান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। তারা নতুন কমিটি ঘোষণা শেষ হওয়া মাত্রই উত্তেজিত হয়ে সভাস্থলের শতাধিক চেয়ার ভাংচুর ও তছনছ করেছে। এছাড়া ব্যানার-ফেস্টুনও ছিঁড়ে ফেলেছে। পরে বাসন থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এটাই ছিল বাসন থানা গঠণের পর আওয়ামীলীগের প্রথম সম্মেলন। বুধবার অনুষ্ঠান থেকে আগামি ১৯ নভেম্বর গাজীপুর মহানগরের সম্মেলনের তারিখও ঘোষণা করেন মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. আজমত উল্লাহ খান।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর