চারিগ্রামে রাতে কাটা হয় মাটি, প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ


সোহরাব হোসেন, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ): মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রাম চকে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা অব্যাহত রয়েছে। নিয়ম বর্হিভূত এ কর্মকান্ডের শুধু ধরন পরিবর্তন করেছে মাটি খেকোরা । দিনের পরিবর্তে এখন রাতের আঁধারে শতশত গাড়ী মাটি অন্যত্র বিক্রি করছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা প্রশাসন বলছে, দিনের বেলা মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রাতের আঁধারে কাটলে অভিযান পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ে। যদি কেউ মামলা করে সেক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, চারিগ্রাম চকে মেসার্স ফ্রেন্ডস এন্টারপ্রাইজের নামে মাটি ব্যবসায়ী ই¯্রাফিল, খোরশেদ, পাপুল, রিয়াজুল, নান্টু ও ফিরোজ ফসলি জমি থেকে বেপরোয়াভাবে মাটি কাটা শুরু করে। এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ফলাও করে স্বচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদের জের ধরে সামান্য হলেও নড়ে চড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন। সাময়িকভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়া হয়। দুদিন না যেতেই ধরন পাল্টিয়ে দিনের পরিবর্তে সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয় মাটি কাটার মহোৎসব।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন, দিনের বেলায় মাটি কাটা বন্ধ প্রশাসনের আইওয়াশ মাত্র। মাটি ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সখ্যতা করেই চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের এ কর্মযজ্ঞ। থানা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। গণমাধ্যমকর্মীরা দায়িত্বশীলদের বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার নক করলেও তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
মাটি কাটার সাথে জড়িত পাপুল ও ইসরাফিল বলেন, যেহেতু মাটির ব্যবসা করি আর মাটি বিক্রির টাকা দিয়েই আমাদের সংসার চলে । যে কোনো কৌশলে মাটি বিক্রি করতেই হবে।
চারিগ্রাম ইউনিয়ন (ভূমি) সহকারী কর্মকর্তা খায়রুল বাশার তার সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করে বলেন , রাতের আঁধারে মাটি কাটার বিষয়টি আমি ইউএনও এবং এ্যাসিল্যান্ড স্যারকে অবগত করেছি।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপন দেবনাথ বলেন, রাতে মাটি কাটলে ব্যবস্থা নিতে আমাদের জন্য কঠিন হয়। কেউ মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।