শেরপুরে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর বিরোধ নিরসনে সম্প্রীতি সমাবেশ

আপডেট: January 23, 2023 |

শাহজাহান আলী, বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুর উপজেলার আম্বাইল গ্রামে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সম্পাদয়ের সঙ্গে স্হানীয় বিরোধ নিরশনের সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৩ জানুয়ারি(সোমবার)বেলা ১২টার দিকে বগুড়ার শেরপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের উলিপুরস্হ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাসুম আলী বেগের সভাপতিত্বে সামাবেশে বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবুর রহমান মজনু,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) আব্দুর রশিদ মিয়া, শেরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা,শেরপুর থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত সার্কেল সজীব শাহরিয়ার, শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার, বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেবেকা সরেন,সাধারণ সম্পাদক শ্রী-কান্ত মহাতো,আদিবাসী পরিষদ বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি সন্তোষ কুমার পাল, বগুড়া জেলা হিন্দু- বৌদ্ধ- খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ডা. এনসি বাড়ই, বগুড়া এনএসআইয়ের উপ-পরিচালক মাজহারুল মান্নান,ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি হাসিবুর রহমান বিলু,বগুড়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যড. গোলাম ফারুক সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পরিমল দত্ত, আদিবাসী পরিষদের নেতা সন্তোষ সিং,স্হায়ী গ্রামবাসীর পক্ষে ওবায়দুর রহমান প্রমূখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের কর্মকর্তা সহিদুর রহমান। সম্প্রীতি অনুষ্ঠানে সনাতন ও মুসলিমদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ,গনমাধ্যমকর্মী ,
আইনজীবীসহ নানা শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে ক্ষুদ্র- নৃগোষ্ঠী সম্পদয়ের সঙ্গে স্হানীয় গ্রামবাসীর বিরোধ নিরসনে উপজেলা প্রশাসনের মধ্যস্হতায় উভয় পক্ষের আইনজীবীসহ ৫ জন করে সদস্য নিয়ে সমঝোতা বৈঠক বসার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়।

সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় বগুড়ার অতিথি জেলা প্রশাসক মাসুম আলী বেগ বলেন, বাংলাদেশ সাম্পদায়িক সম্প্রীতির দেশ। তাই সম্প্রদায়িক হানা-হানির কোনো সুযোগ নেই। আর এজন্যই সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশিত করা হয়েছে।
এছাড়া শেরপর উপজেলা আম্বাইল গ্রামে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর লোকজনের সঙ্গে স্হায়ী গ্রামবাসীর মধ্যে মূলত জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছে।তবে উভয় পক্ষ একমত হক সেটি স্হানীয়ভাবে সমঝোতা হতে পারে।কিন্তু এই বিরোধের জেরধরে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবেনা।সেইসঙ্গে কোনো সংঘাতে জড়ানো যাবেনা।আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে দায়িদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবুর রহমান মজনু বলেন, এখানে হিন্দু- মুসলমানদের কোনো বিরোধ নয়। এর পরও যা ঘটেছে সেটি দুঃখজনক। তবে আমরা সবার সাথে আলোচনা করে এর একটা সুষ্ঠু সমাধান করতে চাই। এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

আদিবাসী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেবেকা সরেন বলেন,আদিবাসীরা শান্তি প্রিয় মানুয়।তারা কখনোই ঝগড়া- বিবাদ চায়না। জমি নিয়ে বিরোধ থাকলে আদালতে নিষ্পত্তি হবে। কিন্তু তাদের উপর নিষ্ঠুরভাবে হামলা করা হয়েছে। এই ঘটনা বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গতঃ বিগত ৮ ও ১১ জানুয়ারি উপজেলা ভবানীপুর ইউনিয়নের আম্বাইল গ্রামে ক্ষুদ্র- নৃগোষ্ঠীর নেতা সন্তোষ সিংয়ের সঙ্গে একই গ্রামের সোলায়মান আলী মাষ্টারের সঙ্গে জমির বিরোধের জেরধরে দফায়-দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনাটির নিরসনের জন্য সম্প্রীতি সমাবেশ আয়োজন করেন উপজেলা প্রশাসন।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর