জ্ঞানের অহংকারই সভ্যতার ধ্বংসের কারণ: মাসরুর আরেফিন

আপডেট: January 30, 2023 |
inbound1245216979873452463
print news

মো. আরিফ হোসাইন, জবি প্রতিনিধি: ‘আমাদের এই সভ্যতার শুরু থেকে তাকালে দেখা যাবে সভ্যতার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে আমাদের জ্ঞানের অহংকার। আমরা যেই মুহুর্তে জ্ঞানী হিসেবে নিজেকে মনে করি সেই মুহুর্তে অন্যদের মানুষ বলেই মনে করি না’ বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও কথা সাহিত্যিক মাসরুর আরেফিন।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের আয়োজনে সাহিত্য-শিল্প বিষয়ক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বক্তব্যে মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘লেখালেখি করতে গেলেই আমরা জন দরদী মানব দরদী হয়ে যাই। আমি এ ধরনের লেখা লিখতে চাই না।

আমি লেখকের মানবতাবাদে বিশ্বাস করি না৷ লেখকের মানবতাবাদ এক ধরনের চ্যারিটি। আমরা যারা লেখক তারা এ সিস্টেমেরই অংশ। আমরা এই সিস্টেমের মধ্যেই বাস করি।’

তিনি আরও বলেন, লেখকের কাজ কোনো কিছুর সমাধান দেওয়া না। ঐটা এক্টিভিস্টরা করবেন। এক্টিভিস্টরা প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন৷ লেখকের কাজ আপনার প্রতিবাদ টুকু সহ পুরো সিস্টেমটার উল্টো করে দেখিয়ে দেওয়া।

লেখকের কাজ সমাজে যা যা চলে তা উন্মোচিত করা। লেখকের কাজ সমাজকে সমাজের চিন্তাকে উপভোগ করা, চিন্তা খুঁচা দেওয়া।

উদ্বোধকের বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সাহিত্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আরও বিকশিত হবে৷

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য সংসদ আছে, ডিবেটিং সোসাইটি আছে, আবৃত্তি সংসদ আছে। সবগুলোর সমন্বিত প্রয়াসে শিক্ষার্থীদের চেষ্টায় এগিয়ে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়।’

মুখ্য আলোচক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘একটা বাংলা একাডেমির বইমেলায় প্রাণ চাঞ্চল্য থাকতো৷ সেটা এখন নাই। কোথায় যেন একটি অভাব আছে। লেখালেখি করে অনেকেই সুনাম অর্জন করেছেন।

কিন্তু লেখকদের মধ্যেও এক ধরনের আতঙ্ক। এখন বইমেলাতে র‍্যাব রাখতে হয় পুলিশ রাখতে হয়। এগুলো একসময় ছিল না।’

অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সাবরিন নাহার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. চঞ্চল কুমার বোস।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর