তানোরে মটর মালিকের দৌরাত্ম্য কৃষকেরা অতিষ্ঠ

আপডেট: February 1, 2023 |

তানোর,রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরের তালন্দ ইউনিয়নের (ইউপি) লসিরামপুর মাঠে গভীর নলকুপের কমান্ড এরিয়ায় নীতিমালা লঙ্ঘন করে অবৈধ সেচ মটর স্থাপণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, লসিরামপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান মুরগীর খামার দেখিয়ে মটর স্থাপন বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন।

কিন্ত্ত তিনি মুরগী খামারের পরিবর্তে নীতিমালা লঙ্ঘন করে সেচ বাণিজ্যে করছেন। মটর মালিক মোস্তাফিজুরের দৌরাত্ম্যে কৃষকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে, বিরাজ করছে ক্ষোভ অসন্তোষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক বলেন, দলের দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে তিনি সেচ চার্জ আদায়ের নামে ও ড্রেন মেরামত, লাইনম্যান ভাতা, ট্রান্সফরমার মেরামত, ভোল্টেজ বাড়ানো, নৈশপ্রহরী ভাতা, অফিস খরচ ইত্যাদি অজুহাতে কৃষকদের কাছে থেকে জোরপুর্বক টাকা আদায় করছেন।

তার চাহিদামতো টাকা না দিলে জমিতে নিয়মিত সেচ দেন না।এমনকি জমির ফসল কেটে নেয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মটর মালিকের এক স্বজন বলেন, মুরগীর খামারের পরিবর্তে অবৈধভাবে সেচ দেয়ার কারণে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাকে প্রতিমাসে টাকা দিতে হয়, না হলে লাইন কেটে দেয়, তাই একটু বেশী টাকা নেয়া হয়।

স্থানীয় কৃষক শফিকুল (৩৫), রাব্বানী ও আতাউর (৪০) অভিযোগ করে বলেন, তিনি মুরগীর খামারের কথা বলে মটর স্থাপন করে কৃষকদের শোষণ করছে।

এছাড়াও তিনি জোরপূর্বক কৃষকের জমি ভ্রম্যমাণ আলু চাষিদের কাছে ইজারা দিতে বাধ্য করেন। আবার ইজারার পুরো টাকা কৃষকদের দেন না। তার মটরের কারণে তারা থেকে পানি নিতে পারেন না। অন্যদিকে তার কাছে পানি নিলে আলুর প্রতি বিঘা জমিতে দুই থেকে তিন হাজার টাকা দিতে হয়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মটর মালিক মোস্তাফিজুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সবাই আলুর জমি বিঘা প্রতি দুই হাজার টাকা নিচ্ছে তাই তিনিও নিচ্ছেন। এবিষয়ে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মাহাফুজুর রহমান বলেন, অতরিক্ত সেচ চার্জ আদায়ের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৈশাখী নিউজ/ বিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর