আক্কেলপুরে ইরি-বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা
দেব্রত মন্ডল, আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের শুরুতেই শীত‘কে উপেক্ষা করে ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
বাজারে আমন ধানের দাম ভালো পাওয়া এবার ইরি-বোরো ধান চাষে ঝুঁকেছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে উপজেলাজুড়ে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৩০ ভাগ জমিতে ধান রোপন করা হয়েছে। শীত উপেক্ষা করে কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোমর বেঁধে মাঠে কাজ করছেন কৃষকেরা।
এদিকে বাজারে ডিজেল তেল ও কীটনাশক ওষুধের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষে বিঘা প্রতি এক থেকে দেড় হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে বলে কৃষকেরা জানান।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১০ হাজার ৩শত ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলাজুড়ে উফশী ৯ হাজার ৩শত১৫ হেক্টর ও হাই ব্রিট জাতের ১ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে ধান রোপন করা হচ্ছে।
উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়রের গুন্ডিমসাড়া গ্রামের কৃষক শ্রী অসিম চন্দ্র জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় বর্তমান বাজারে ধান বিক্রি করে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।
এই মাঠের অধিকাংশ জমিতেই ধান রোপনের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
তিনি আরো বলেন, বাজারে ডিজেল তেল ও কীটনাশক ওষুধের দাম বৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ চালিত গভীর নলকূপের মাধম্যে পানি সেচের নেওয়ায় কৃষকদের ধান চাষে বিঘা প্রতি এক থেকে দেড় হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে।
এসবের দাম কমে গেলে কৃষকরা ধান চাষে অধিক লাভবান হবেন বলে আশা করেন ।
আক্কেলপুর পৌরসভার হাস্তাবন্তপুর গ্রামের কৃষক মোঃ খসরু প্রামানিক জানান, ৩বিঘা জমিতে ইরি বোরো আবাদ করছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও এ বছর ইরি- বোরো ধান চাষে খরচ অন্যান্য বছরের চেয়ে দিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, বলে খানিকটা চিন্তিত আমি।
আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইমরান হোসেন জানান, ইরি-বোরো ধান চাষে সুষমের মাত্রায় সার দেওয়ার জন্য এবং সঙ্গে সঙ্গে লাইন, লগো এবং পাশিং করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১০ হাজার ৩শত ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতবছরের তুলনায় চলতি বছরে ৫০ হেক্টর জমিতে অতিরিক্ত চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে ইরি-বোরো চাষে বেশি হওয়ার সম্ভবনা।
তিনি আরো বলেন, এবার উপজেলা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ হাজার ৭শত কৃষকের মাঝে উফশী জাতার ৫ কেজি ধান, ১০ কেজি ডিওপি ও ১০ কেজি এম ও পি এবং ২ হাজার ৭শত কৃষকের মাঝে হাই ব্রিট জাতার ২ কেজি করে বীজ ইরি-বোরো চাষের জন্য প্রনোদনা দিয়েছেন।