তানোরের কামারগাঁ ইউপি আওয়ামী লীগে মতবিরোধ ও কোন্দল

আপডেট: February 20, 2023 |
Boishakhinews24.net 178
print news

আলিফ হোসেন, তানোর(রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপি) আওয়ামী লীগে মতবিরোধ ও কোন্দলের সৃষ্টি হয়েছে।

আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের আদর্শিক, পরিক্ষিত, ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের হৃদয়ে হচ্ছে রক্তক্ষরণ। আবার অনেকে নিজের আত্মসম্মান নিয়ে সাংগঠনিক কর্মকান্ড থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে সাংগঠনিক কর্মকান্ড। অন্যদিকে সাধারণ কৃষকদের মাঝেও সৃষ্টি হয়েছে চরম অসন্তোষ।

ইউপির বিভিন্ন এলাকায় গভীর নলকুপ অপারেটর নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম-দুর্নীতি, অর্থের বিনিময়ে একই পরিবার একাধিক অপারেটর নিয়োগ ও অপারেটরদের জুলুম-নির্যাতনের কারণে সাধারণ কৃষকেরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

এতে আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংকেও আঘাত লেগেছে বলে মনে করছে আদর্শিক নেতাকর্মীরা। স্থানীয়রা বলছে, সাধারণ নির্বাচনের বছরে এসব অপারেটরের দৌরাত্ন্যে থেকে কৃষকদের উদ্ধারে স্থানীয় সাংসদের কঠোর ভূমিকা নেয়া সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

জানা গেছে, একটা সময় বিএনপি ও জামায়াতের যারা সক্রীয় কর্মী ছিলো অথবা যাদের রাজনৈতিক জীবনটাই পালা বদলের। এমন বিতর্কিত, গ্রহণযোগ্যহী ও সুযোগসন্ধানী

আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর রাতারাতি খোলস পাল্টিয়ে বিভিন্ন লাভজনক পদ বাগিয়ে নিয়েছেন।

অনুপ্রবেশকারী এবং এসব হাইব্রিডদের নিয়ে বিব্রত ও বিক্ষুব্ধ দলের নেতাকর্মীসহ জনসাধারণ। তৃণমূলের অভিযোগ, ইউপি আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের পরীক্ষিত, ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা কোনঠাসা ও বঞ্চিত হয়ে ধুঁকে ধুঁকে চলছে। অথচ জনবিচ্ছিন্ন , বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীরা বিভিন্ন লাভজনক পদ বাগিয়ে নিয়ে ফুরফুরে হয়ে ঘুরছে।

স্থানীয়রা জানান, কামারগাঁ ইউপির এক সদস্য (মেম্বার) ছিলেন বিএনপির সক্রিয় কর্মী। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে সাধারণের কাছে তিনি ছিলেন মুর্তিমান আতঙ্ক। তিনি ও তার পরিবারের সকলে এখানো বিএনপি মতাদর্শী। কিন্ত্ত আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর রাতারাতি খোলস পাল্টিয়ে পরিবারসহ আওয়ামী লীগ হয়েছেন।

তিনি নিজে তিনটি গভীর নলকুপের অপারেটর পাশাপাশি আরো নয়টি গভীর নলকুপ দেখভাল করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি জানান, এই ব্যক্তি নিজ পরিবার থেকে তিনটি ডিপের অপারেটর নিয়োগ নিয়েছেন। এসব ডিপে কমপক্ষে এক হাজার’ বিঘা জমিতে আলুচাষ হয়।

মৌসুমি আলু চাষীদের কাছে তিনি এসব জমি সেচসহ বিঘা প্রতি ১৪ থেকে ১৬ হাজার টাকা করে ইজারা দেন।কিন্ত্ত জমি মালিকদের তিনি সাত থেকে আট হাজার টাকা দিয়ে বাঁকি টাকা আত্মসাত করে চলেছেন। এছাড়াও তাকে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের তদারকির দায়িত্ব।

স্থানীয়রা জানান, এসব বিতর্কিতদের দলে ভেড়ানোয় দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড স্থবির হলেও কারো কারো পকেটভারী হয়েছে।

একাধিক নেতা জানান, তারা ও তাদের সহযোগীদের নিয়ে আওয়ামী লীগে দলীয়কোন্দল ও মতবিরোধের সুত্রপাত হচ্ছে রক্তক্ষরণ। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই দলকে হাইব্রিডমুক্ত ও অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করতে উপজেলা নেতৃত্বের প্রতি অনুরোধ করেছেন তৃণমূল।

অথচ সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সভায় বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।কিন্ত্ত তার পরেও গ্রহণযোগ্যহীন ও সুযোগ সন্ধানীরা

কিভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর ছড়ি ঘোরায় ও ছবক দেয় ? এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ইউপি আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে কৃষকের মতামতের ভিত্তিতে গভীর নলকুপের অপারেটর নিয়োগ ও সমিতির মাধ্যমে ডিপ চালানোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর